1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

মুক্তির স্মৃতিতে গাঁথা বুলেট, রায়পুরা মুক্ত দিবস আজ

এস কে এস, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
  • প্রকাশের তারিখ | শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৭১ পাঠক

নরসিংদীতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম উপজেলা রায়পুরা। এই দিনে পাক হানাদারদের কাছ থেকে রায়পুরাকে মুক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালে সম্মুখ সারিতে থেকে সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৫নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার পাকিস্তানী সৈন্যদের কবল থেকে গৌরবোজ্জ্বল এ বিজয় ছিনিয়ে আনেন। এরপর থেকে ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা মুক্ত দিবস পালন করে আসছে উপজেলাবাসী।
এ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের বেশকয়েকটি স্মৃতির মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য রয়েছে মেথিকান্দা রেল লাইন সংলঙ্গ একটি গণকবর। আরো রয়েছে মির্জানগর ইউনিয়নের মেজের কান্দি গ্রামে রয়েছে মুক্তির স্মৃতিতে গাঁথা বুলেট।

এই দিনে রায়পুরাবাসী গভীরভাবে স্মরণ করেন- যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ বশির, দুদুসহ আরো অনেককে।

মির্জানগর ইউনিয়নের মেজের কান্দি গ্রামের মৃত আলী আকবর এর ছেলে সহকারি মুক্তিযোদ্ধা মিন্নত আলী জানান, যুদ্ধচলাকালিন সময় এ গ্রামে পাকবাহিনীর রাস্তা ব্লক দেয়। আমরা বন্ধুরা মিলে যুদ্ধে যেতে চাইলে তখন নিজ গ্রামকে রক্ষা করতে মুক্তিবাহিনীদের সাথে যোগ দেই। তাদের পাশে থেকে সর্বোচ্চ জীবন বাজি রেখেছি আজ এ স্মৃতিবিজড়িত চিহ্ন আকড়ে ধরে রাখতে একটি বিশাল বুলেট নির্মাণ করা হয়েছে। এ বুলেটের স্থানে হায়নাদের নির্মম হত্যা শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন একজন নারীসহ পাঁচনজন। এছাড়া এখানে একজন পাকিস্তানী কর্ণেল মারা গেছে। এর আগে রেল লাইনের পাশে অবস্থিত এ গ্রামের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীরা অবস্থান নেন। তখন পাকবাহিনী ডুকতে তাদের রুখে দেন মুক্তিবাহিনীরা। মেলিটারি ও মুক্তিবাহিনীদের যুদ্ধে এ মেজের কান্দী গ্রামটিকে পুড়ে শ্মাশান হয়ে যায়।

জানা যায়, ১৯৭১ সালে ৭ই এপ্রিল রায়পুরায় সংগঠিত হয়েছিল সর্বদলীয় প্রশিক্ষণ। ১৩ এপ্রিল বেলাবোর বড়িবাড়ী এলাকায় পাকসেনাদের বিরুদ্ধে ৮ ঘণ্টাব্যাপী মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। ১৪ এপ্রিল রায়পুরা থানা আক্রমণ হয়। এতে অংশ নিয়েছিলেন – রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আফজাল হোসাইন, তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রয়াত জালালউদ্দিন আহমেদ ও সেক্রেটারি হারুনূর রশীদ। খবর পেয়ে ১৮ মে পাকবাহিনী রায়পুরায় প্রবেশ করে, দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম ও স্থবির হয়ে পড়ে যাবতীয় চিন্তা-ভাবনা।

১৮ই অক্টোবর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ের মির্জানগর ইউনিয়নের বাঙ্গালীনগরে অবস্থিত ৫৫নং রেলসেতুতে দুই ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধ হয়। এতে ৬জন পাকসেনা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়। এছাড়াও ৩৩জন পাকসেনা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এ আক্রমণে নেতৃত্ব দেন- লতিফ কমান্ডার, কমান্ডার জয়ধর আলী, কাজী হারুন, প্রয়াত ইদ্রিস হালদার প্রমূখ।

৭ই নভেম্বর পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ রণাঙ্গনে প্রচণ্ড যুদ্ধ করে শহীদ হন চট্টগ্রাম রাউজানের সুবেদার বশর, রায়পুরা মরজাল গ্রামের সার্জেন্ট আঃ বারি, খাকচক গ্রামের এয়ারফোর্সের নুরুল হক, রাজনগর গ্রামের বেঙ্গল রেজিমেন্টের সোহরাব। এ ছাড়াও কাজী হারুন-অর-রশিদ, রাজনগর গ্রামের সুবেদার ইপিআর জয়দর আলী ভূইয়া ও ইদ্রিস হাওলাদারের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।

দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারগণ ছাড়াও বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন কমরেড শামসুল হক। বিশেষ অবদানের জন্য রণাঙ্গনের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেয়া হয়।

১০ ডিসেম্বর রায়পুরা দিবসটিকে ঘিরে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD