বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে যুদ্ধে গিয়েছিলেন আব্দুল আলী। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীর কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের চৌঘরিয়া গ্রামের মৃত: আলীম উদ্দিন এর ছেলে। যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকবাহিনীর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনার ৫০ বছর হলেও পরাজিতই রয়ে গেছেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সীকৃতি পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানান আব্দুল আলী।
সরেজমিনে গিয়ে আব্দুল আলীর কাগজপত্র দেখে জানা যায়, বীর প্রতীক মেজর নেবাল সিরাজ সাহেবের আওতাধীন নরসিংদীর র্কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মৈষাদী মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতীয় তালিকা নং-৫১৮। এছাড়া আব্দুল আলীর নামে রয়েছে দেশরক্ষা বিভাগ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র, মুক্তিযোদ্ধার প্রত্যয়ন পত্র, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সাথীদের স্বাক্ষরীত পত্র। এতকিছু থাকা সত্ত্বেও দেশ স্বাধীনের ৫০বছরেও পাননি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। কারণ জানতে চাইলে আব্দুল আলী জানান, আথিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় আজ এ অবস্থা, তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট জেলা/উপজেলা অফিসে বহুবার গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। যার কাছে যাওয়া হয়, টাকা ছাড়া মিলে না কোন সেবা। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মিলেছে বয়স্ক ভাতা। গত তিনমাস আগে বয়স্ক ভাতার অর্ধেক টাকা হাতে পেয়েছেন তিনি।
নরসিংদী জেলা সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযোদ্ধা-৭১ এর সভাপতি আব্দুল মোতালিব পাঠানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দফায় দফায় সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে গেজেট প্রকাশ করেছেন। আজ দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তী হয়েছে। আব্দুল আলী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তা স্বীকার করতে হবে। যাচাই বাছাইয়ে থাকতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ছয়টি তালিকা রয়েছে কোনটায় নাম নেই এ দেশে অনেকে অংশ না নিয়েও দাবি করছেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে।