বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এরপর আওয়ামী লীগসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তাদের পর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
১৯৭১ সালে আজকের দিনে সৃষ্টি হয়েছে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার ইতিহাস। ৩০ লাখ শহিদের তাজা রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মানচিত্র ও লাল-সবুজের পতাকা।
পৃথিবীতে এত দাম দিয়ে আর কোনো দেশকে হয়তো পতাকা কিনতে হয়নি। তাইতো বাঙালি স্বপ্ন দেখছে সোনার বাংলা গড়ার। এটি শুধু একটি দেশের স্বাধীনতাই নয়, বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পরাধীনতার শিকল ভেঙে বের হওয়ার প্রেরণাও বটে।
শুধু তাই নয়, কীভাবে একটি নিরস্ত্র জাতি মনের জোরে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি বাহিনীকে মাত্র ৯ মাসে হার মানাতে বাধ্য করে, তা সারা বিশ্বে স্থাপিত হয়েছে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত হিসাবে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজারও বঞ্চনা থেকে মুক্তির ইতিহাস, বাংলাদেশের মানুষের আবেগ ও উচ্ছ্বাস। স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল দুটি-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি।