মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পণ্ডিত হলেই সে বুদ্ধিজীবী হবে না, স্বাধীনতার স্বপক্ষে কথা বলতে হবে তাকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেকেই মারা গেছে, তাই বলে তারা শহীদ? না, শহীদ হতে হলেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কথা বলতে হবে।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর: আমাদের যত অর্জন ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা জাতির কলঙ্ক ও দায়মুক্ত হতে চাই। বুদ্ধিজীবীদের তালিকা যদি আমরা করতে না পারি তবে দায়মুক্ত হবো না। আমরা আমাদের দায় এড়াতে চাই না। আমরা পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে চাই। আমরা আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো কারো কাছে কোন তথ্য থাকলে তা দিয়ে সহায়তা করার জন্য।
মন্ত্রী বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এখনও চলছে। গত ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদী আসলেন তখন ধর্মের নামে হেফাজত ইসলাম যা করেছে তা আপনারা দেখেছন।
তিনি বলেন, আমরা যারা দেশ জয় করেছি আনন্দে সব ভুলে গিয়েছি। অথচ পাকিস্তানের দোসররা পরাজয়ের ঘ্লানি ভুলে যাননি। তারা এখনও এই দেশেই আছেন। আল বদর, আল শামস এরা এখনও আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এদের প্রতি যেন ঘৃণা জন্মায় সে তালিকা করতে আমরা ব্যর্থ হয়ছি। সেই তালিকা না করতে পারায় এরা আমাদের মাঝে মিশে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার বিরোধীদের চরিত্র তুলে ধরতে না পারায় এমনটি হয়েছে। পাকিস্তান বাহিনী কবে আত্মসমর্পণ করেছে- এর জবাবে ৯০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উত্তর দিতে পারে নাই বলে আক্ষেপ করেন মন্ত্রী।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন লেখক ও ব্লগার মারুফ রসূল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।