বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন ও ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে তিনি বোতাম চেপে লটারির কার্যক্রম শুরু ও ফল প্রকাশ করেন।
অনলাইনে স্কুলে ভর্তির এই লটারি হচ্ছে টেলিটকের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে।
শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৬ থেকে httpgsa.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইট থেকে রেজাল্ট জানতে পারবেন। এছাড়াও মোবাইলের মাধ্যমে রেজাল্ট জানার জন্য টেলিটক মোবাইল থেকে GSA Space RESULTSpaceUSER ID লিখে 16222 নাম্বারে সেন্ড করতে হবে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ২৯৬১ টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২৫ নভেম্বর থেকে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে হতে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য অনলাইনে শূন্য আসনের চাহিদা নেওয়া হয়। উক্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৫ টি আবেদন পড়ে।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লটারি হয়। এতে ৭৫ হাজার ৯৬৯ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়।
ওই দিন বিকেলে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি স্কুলগুলোয় ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
২০২২ সালের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে স্কুলে ভর্তির জন্য ২৫ নভেম্বর অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। তা চলে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত।
মাউশি এর আগে এক অফিস আদেশে জানায়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তিপ্রক্রিয়া অবশ্যই ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ভর্তি পরিচালনা কমিটি, ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি থাকতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।