ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, লঞ্চ থেকে ২৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি তিনটি মরদেহ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের পরিচয় জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দমকল কর্মীরা অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। রাত তিনটা থেকে আগুন জ্বলতে থাকে। যাত্রীরা অনেকেই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বাঁচেন। যাত্রীদের ধারণা, হতাহতের সংখ্যা অনেক। তবে কেউ এখনো নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
ধারণা করা হচ্ছে, লঞ্চের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। যা পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। লঞ্চে প্রায় ৩০০ থেকে সাড়ে তিনশ’ যাত্রী ছিল। আগুন লাগার খবরে সবাই প্রাণ বাঁচাতে লঞ্চ থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এতে বহু হতাহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দগ্ধও হয়েছেন অনেকে।