নতুন ধান বাজারে ওঠার পরও চালের দাম বাড়ছে হু হু করে। যার প্রভাব পড়ছে সারা দেশে ভাত খাওয়া মানুষের ওপর। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে চালের দাম ক্রেতা-ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে সরকার খোলা বাজারে চাল বিক্রিসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় ক্রেতা-ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বঙ্গবন্ধু গ্রিন ফ্যাক্টরী অ্যাওয়ার্ড ও লীড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের মিথিলা গ্রুপ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাদের প্রতিষ্ঠান খান ফুড এন্ড অটো রাইস মিল্স লিমিটেড বেসরকারি পর্যায়ে এই প্রথম উৎপাদন খরচে মানসম্মত চাউল বিক্রির জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পৃথক চারটি এলাকায় শো-রুম চালু করেছে। শো-রুমগুলো আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা খানপাড়া, রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া, বরপা ও রাজধানী বাসাবো এলাকায় চালু করা হয়েছে। শুক্রবার মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান শো-রুমগুলো আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল খান, পরিচালক মাহবুব খান হিমেল, কায়েস খান টয়েস প্রমুখ।
মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান জানান, বর্তমানে চিনিগুড়া ধানের প্রতি মণ এক হাজার ৯শ’ টাকা, যা থেকে চাল হয় ২৩ কেজি। অথ্যাৎ এক কেজি চিনি গুড়া চালে মূল্য দাড়ায় ৮২.৬০ টাকা, একই ভাবে মিনিকেট প্রতি কেজি ৫৯ টাকা, কাটারি ভোগ ৬৪ টাকা, বাসমতি ৮৮ টাকা ও জিরাশাইল ৪৮ টাকা মূল্য দাঁড়ায়। এক কেজি চিনিগুড়া চাল যেখানে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা সেখানে খান ফুড এন্ড অটো রাইস মিল্স লিমিটেড চাল বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮২ টাকা। মিথিলা গ্রুপ এই প্রতিষ্ঠানের চাউল উৎপাদিত মূল্যেই তাদের নিজস্ব চারটি শো-রুমগুলো চাল বিক্রি হচ্ছে। অতি শীঘ্রই ঢাকা ও এর আশে পাশে এরকম আরও ৬টি শো-রুম চালু করা হবে।
মিথিলা গ্রুপের পরিচালক মাহবুব খান হিমেল জানান, খান ফুড এন্ড অটো রাইস মিলের” ওয়েষ্ট প্রোডাক্ট ধানের তুষ জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করে ২০ হাজার ১৬০ কিউবিক মিটার ষ্টিম উৎপাদন করা হয়। যা মুল্যবান গ্যাস সম্পদের ব্যবহার সীমিত রাখার মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন, জলবায়ু রক্ষা ও সবুজায়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে এ গ্রীণ ফ্যাক্টরিটি। তাই উৎপাদন খরচে চাল বিক্রি করে মিথিলা গ্রæপ সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করছে।
ভুলতা এলাকার জয়নাল আবেদীন জানান, খান ফুডের সব ধরনের চাল বেশ মানসম্মত। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে খানের চাল ক্রয় করছেন। তবে এবার নিজম্ব শো-রুমের মাধ্যমে উৎপাদন খরচে চাল বিক্রির উদ্যোগ নেয়ায় তার মত অন্যান্য ক্রেতারাও ন্যায্যমুল্যে চাল কিনতে পারবেন।