কিডনি বেচাকেনার বাজার বলে পরিচিত জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা থেকে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের হোতাসহ ৯ দালালকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান তালুকদার।
আটকৃতরা হলেন- কালাই উপজেলার উলিপুর গ্রামের খাজা ময়েনউদ্দিন, একই গ্রামের আজাদুল ইসলাম, বহুতি গ্রামের আব্দুল করিম ফোরকান আলী, পাইকপাড়া গ্রামের আফসার মন্ডল, একই গ্রামের নুরুল ইসলাম, পূর্ব কিষ্টপুর গ্রামের বাবলু ফকির, দুধাইল নয়াপাড়া গ্রামের সোবহান মন্ডল, মজাহিদুল মন্ডল এবং একই গ্রামের সাজেদুল ফকির।
লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান তালুকদার বলেন, কালাইয়ে কিডনি ক্রয়-বিক্রয়কারী দালালদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে প্রধানত গরিব, দরিদ্র ও আর্থিক অনটনে থাকা মানুষদের টার্গেট করে এবং অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দেহ থেকে কিডনি সংগ্রহ করে। সংগ্রহ করা কিডনির গ্রাহক প্রধানত দেশের ধনী পরিবার ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ। চক্রটি বিভিন্ন ধাপে ভিকটিমদের কিডনি গ্রাহক শ্রেণির কাছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে।
ভিকটিমরা শুধুমাত্র মোটা অঙ্কের টাকার লোভেই উক্ত কাজে প্ররোচিত হয়। কিন্তু কিডনি নিয়ে চক্রটি চুক্তি মোতাবেক পাওনা পরিশোধ করে না। পরবর্তীতে ভিকটিমরা টাকা চাইলে তাদের প্রাণনাশের হুমকিসহ আইনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এভাবে উল্লেখিত অঞ্চলের বহু মানুষ প্রতারিত ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। এখনো তারা প্রতারিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, গত বছরের ১১ অক্টোবর কালাই থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে প্রথম র্যাব-৫ এর একটি দল পরিচালনা করে। কিডনি কেনাবেচার দালাল চক্রের সদস্যদের ধরতে মঙ্গলবার কালাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতাসহ ৯ দালালকে আটক করা হয়। আটকদের জিডি মূলে কালাই থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার রুহ-ফি তাহমিন তৌকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।