দিন দিন বেড়েই চলছে সুস্বাদু খেজুর রসের চাহিদা। এ মৌসুমে শুধু রস বিক্রি করেই সচ্ছলতা ফিরেছে সদর উপজেলা মাধবদীর কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মৈষাদী গ্রামের আলী আকবরের সংসারে। এদিকে খেজুরের রসের চাহিদা বাড়লেও বাড়ছে না গাছের সংখ্যা। বরং দিন দিন কমছে গ্রামের খেজুরগাছ। নতুন করেও এ গাছের চাষ গ্রামে তেমন দেখা যাচ্ছে না। তাই সংকটে চলতি মৌসুমে প্রতি লিটার রস বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। কথা হয় রস বিক্রেতা ৮২ বছরের আলী আকবরের সঙ্গে। তিনি জানান, দিন দিন খেজুরগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় রস তেমন সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। ৩৬ বছর ধরে শীতকালে রস বিক্রি করে সংসার সুন্দরভাবে চালাতে পারছেন তিনি।
এ বছর সর্বোচ্চ মূল্যে রস বিক্রি হচ্ছে। গাছে কলস ঝুলানো অবস্থায়ই রস পিয়াসুরা তা নিয়ে যাচ্ছেন। আজ ভোরেও পাশের গ্রামের দুটি গাছ থেকে ৮ লিটার রস সংগ্রহ করে পথেই ক্রেতাদের অনুরোধে বিক্রি করতে হয়েছে।
আলী আকবর জানান, রস দিয়ে গুড় তৈরি করেও বিক্রি করেছেন তিনি। তবে সংকট থাকায় ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পারছেন না। রস দিয়ে পিঠাপুলি ও গুড় তৈরি করতে প্রতিদিন কেউ না কেউ রসের জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখছেন। শীতের শেষ মৌসুমে বাড়িতে এসেও নগদ টাকা দিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।
তিনি জানান, শীতকাল ছাড়া গ্রামে গ্রামে ঘুরে নারিকেলগাছ ছেঁটে সংসার চালান। বয়স্ক ভাতাও পান। পরিবারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে তার। নিম্নবিত্ত পরিবারের হয়েও পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনসংগ্রামে এক সচ্ছল ব্যক্তি তিনি।