চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপাতত জায়েদ-নিপুন দুজনের কেউই এই চেয়ারে বসছে না, পদটি শূন্য থাকছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। পাশাপাশি আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানি করবেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর জায়েদ খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘নির্বাচিত হয়েও ভালোবাসা দিবসে কোর্টের বারান্দায় আসাটা কষ্টের। আমার মতো কারো ভালোবাসা দিবস আদালতের বারান্দায় না কাটুক। সবাইকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের শুভেচ্ছা।’
নিপুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিপুনের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। সে আমার কলিগ, তার প্রতি ভালোবাসা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।’
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তার এই প্রতিদ্বন্দ্বীর উদ্দেশ্যে নায়ক বলেন, ‘তাকে (নিপুন) আমি একটা কথাই বলব, আপনি ভোটে পরাজিত হয়েছেন, সেটা মেনে নিয়ে আমাকে শিল্পী সমিতির কাজ করার জন্য সহযোগিতা করেন, তাহলে খুব খুশি হব। ভালোবাসা দিবসে আপনার প্রতি আমার এই বার্তা থাকল।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনলে ৫ ফেব্রুয়ারি সেই প্রেক্ষিতে আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে।
এরপর আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই বিষয়টি ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে আসছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। আপাতত নিজেদের পদ পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন জায়েদ ও নিপুন।