শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, বরং তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করছে বর্তমান সরকার। প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল, তাতে সরকার সফল বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে মুজিববর্ষে প্রকাশিত বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন, ‘বঙ্গবন্ধু স্কলার’ বৃত্তি প্রদান এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ’আমাদের উন্নয়ন শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, তৃণমূল থেকে উন্নয়নটা করি। আধুনিক প্রযুক্তির ওপরে যে গুরুত্ব দিয়েছিলাম, সেখানে আমরা যথেষ্ট সফল। বাংলাদেশ আর অন্ধকারে পড়ে থাকছে না বরং বাংলাদেশের মেধাবী ছেলেমেয়েরাও বিশ্বের কাছে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে আসা। এরপর ২০৪১ সালের লক্ষ্য নিয়েছি। আজকের নতুন প্রজন্ম তারা ৪১ সালের সৈনিক হবে। জাতির পিতা বাংলাদেশকে সোনার দেশ গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। সেই সোনার মানুষ এখন তৈরি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে পারা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। সেটা আমরা করতে পেরেছি, সেজন্য আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ভোট দিয়ে তারা নির্বাচিত করেছিল বলেই আজকে আমরা সরকার গঠন করতে পেরেছি এবং এ বিরল সুযোগ পেয়েছি। ‘

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ’পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধু নামটা মুছে ফেলা হয়েছিল। আমাদের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের যে ইতিহাস, সব ইতিহাসই কিন্তু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল প্রায় ২১ বছর। আমাদের কয়টা প্রজন্ম আছে, যারা হয়তো কিছু জানতেই পারেনি। আজকে লেখা বা প্রকাশনার মাধ্যমে অনেক কিছু নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’

বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে গান, কবিতা ও বিভিন্ন সাহিত্যের বিষয় তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ’পৃথিবীতে এমন কোনো নেতা আছেন কিনা আমি জানি না, যার নামে এত গান, এত কবিতা রচনা হয়েছে। আমি বলব, রচনাগুলো গল্প, সাহিত্য থেকে শুরু করে বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই কিন্তু বিস্তৃত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে মানুষ আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে। শুধু গ্রহণ করলেই হবে না, পরবর্তী প্রজন্ম সেই আদর্শে আদর্শিত হয়ে এই বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।’

বৃত্তি ও বিশেষ গবেষণা বৃত্তি চালু রাখার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ’আমরা একটা বরাদ্দ রেখে দেব যারা গবেষণা, কিছু আবিষ্কার করতে পারবে তাদের জন্য।’

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ১৩ জনকে বঙ্গবন্ধু স্কলার বৃত্তি ও ১০০ জনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজের বিজয়ী হিসেবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন।