হামলার দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছের প্রধান বিমানবন্দরটি দখলে নিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। প্রায় ২০০ হেলিকপ্টারের এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইউক্রেনের দুই শতাধিক সৈন্যকে হত্যার পর ওই ঘাঁটি দখল নেয় তারা।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাশিয়ান বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভও বলেছেন, ইউক্রেনের বিশেষ ইউনিটের ২০০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছে।
তবে রাশিয়ার এসব দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীকে রক্ষা করতে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানও কিয়েভে প্রবেশ করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে টিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রথম দিনই পুতিন বাহিনী মূল লক্ষ্য পূরণে ‘ব্যর্থ’ হয়েছেন এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে ৪৫০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ওয়েলস অনলাইন শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ দাবি করার পর থেকে রাশিয়া এর বিরোধিতা করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্বের হুমকি-ধামকি আমলে না নিয়ে ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলের দোনেস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয় রাশিয়া। এমনকি সেখানে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য’ সেনা পাঠানোরও ঘোষণা দেন পুতিন। এর পর বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেয় রাশিয়া।