ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর দেশটির অলভিয়া বন্দরে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলায় নিহত বাংলাদেশি থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে।
সোমবার (১৪ মার্চ) বেলা ১২টা ৬ মিনিটের দিকে তাকে বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি (টিকে-৭২২) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে স্থানীয় সময় আড়াইটার দিকে ছেড়ে আসে টার্কিশ এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটটি।
গত ১১ মার্চ হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেন থেকে মালদোভায় পৌঁছায়। সেখান থেকে মরদেহ শনিবার (১২ মার্চ) সকালে রোমানিয়ায় পৌঁছায়। রোমানিয়া সময় রাত পৌনে ১০টায় বুখারেস্ট থেকে নাবিক হাদিসুরের মরদেহ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে।
পরে ফ্লাইটি ইস্তাবুলে পৌঁছানোর পর ভারী তুষারপাতের কারণে রবিবারের ফ্লাইট বাতিল করা হয়। পরদিন (সোমবার) টার্কিশ এয়ারলাইন্সের আরেকটি ফ্লাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হয় হাদিসুরের মরদেহ।
গত ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা এমভি বাংলার সমৃদ্ধি গোলা হামলার শিকার হয়। এতে জাহাজে আগুন ধরে নিহত হন হাদিসুর। পরদিন ৩ মার্চ জাহাজটি থেকে জীবিত ২৮ নাবিক ও নিহত হাদিসুরের মরদেহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরপর ওই ২৮ নাবিককে ইউক্রেন থেকে মালদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যায় সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস। গত ৯ মার্চ রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে ওই ২৮ নাবিককে দেশে ফেরত আনা হয়।