দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটিই বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়। ২০০৩ সালের অফ্রিকা বিশ্বকাপের সব ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে এবার সেই অভিশাপ থেকে মুক্তি মিললো টাইগারদের। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৩১৫ রানের টার্গেট দেয় তামিমরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সংগ্রহ করেন ৪৮.৫ ওভারে ২৭৬ রান। ফলে ৩৮ রানের জয়ে গত ২০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে।
মেহেদি মিরাজ ও তাসকিনের বোলিং নৈপুণ্যে সিরজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারি বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করে লিটন, ইয়াসিরের দুই অর্ধশত এবং সাকিবের ৬৪ বলে ৭৭ রানের সুবাদে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ৩১৫ । শুরুতেই বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তারা ওপেনিং জুটিতে করেন ৯৫ রান। এরপর চতুর্থ উইকেটের জুটিতে দলের রানের খাতায় ১১৫ রান যোগ করেন সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলী।
তামিম দলীয় ৯৫ রানের সময় ৬৭ বল খেলে ৪১ রান করে আউট হন। এরপর লিটন দাস হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই সাজঘরে ফেরেন। তিনি আউট হন দলীয় ১০৫ রানের সময়।
পর পর দুটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়ে যখন দলীয় ১২৪ রানের সময় মুশফিকুর রহিম মাত্র ৯ রান করে আউট হন।
কিন্তু এরপরই দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলী। তারা দুইজন মিলে রানের সংখ্যা বাড়াতে থাকেন।
সাকিব থামেন দলীয় ২৩৯ রানের মাথায়। সাকিব বিদায় নেওয়ার পর ইয়াসিরও দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২৩৪ রানের সময় আউট হন।
সাকিব ও ইয়াসির আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ বড় সংগ্রহের দিকেই আগাচ্ছিল। কিন্তু তারা দুইজন কম সময়ের মধ্যে আউট হয়ে যাওয়ার পর রানের গতি কিছুটা কমে যায়। কিন্তু লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা শেষ দিকে দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন।
শেষ দিকে ব্যাট করতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ ১৩ বল খেলে ১৯ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৭ বল খেলে ২৫ রান করেন। তাছাড়া আফিফ ১৩ বলে ১৭ ও তাসকিন ৫ বলে ৭ রান করেন।
কিন্তু ক্রিকেট মানেই নতুন রেকর্ড, ক্রিকেট মানেই রহস্য। অবশেষে রাসিভানদের ৮৬ এবং মিলারের ৭৯ রানে ভর দিয়ে ৪৮.৫ ওভারে সবকটি ওউকেট হারিয়ে ২৭৬ রান করতে সক্ষম হয় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।