নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় শিশুসহ নিখোঁজ আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ জন। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।
নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, মঙ্গলবার (২২ মার্চ ) সকাল আনুমানিক ৮টার সময় মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল যুবায়ের এবং গজারিয়া থেকে তিন বছরের শিশু আরোহীর লাশ উদ্ধার হয়।
লাশ দুটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে তাদের টহল বোট গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নিহতের স্বজনরা। তবে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, নৌ-থানা পুলিশ ও কোস্ট গার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তালিকা অনুযায়ী আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত টহল ও তল্লাশি তৎপরতা চলবে।
এর আগে, রবিবার দুপুরে কয়লাঘাট এলাকায় এমভি রূপসী-৯ নামে পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আফসারউদ্দীন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে লঞ্চটি। কয়লারঘাট এলাকায় লঞ্চটিকে পেছন থেকে কয়েকটি ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী জাহাজটি।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট লঞ্চটি থেকে ইশারা কিংবা আওয়াজ দিয়ে বারবার জাহাজের নাবিকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সেই আর্তনাদ হয়তো পৌঁছায়নি। মুহূর্তেই শীতলক্ষ্যায় তলিয়ে যায় লঞ্চটি।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় টানা তিন দিন ধরে নিখোঁজদের সন্ধানে আহাজারি করছেন তারা।