বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ ও ফিল্ডিংকে একবাক্যে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন? দারুণ, অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব, অসাধারণ! সবই যেন কম পড়ে যাবে। আজ (২৩ মার্চ) সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশি বোলারদের আগুন ঝড়া বোলিংয়ে মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নতুন ইতিহাস লিখতে টাইগারদের করতে হবে ১৫৫ রান।
বিশেষভাবে বলতে হবে তাসকিন আহমেদের কথা। এর আগে এই মাঠেই গত ১৮ মার্চ প্রথম ওয়ানডেতে ১০ ওভারে মাত্র ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন এই পেসার। ইকোনোমি ছিল ৩.৬০! আর আজ সেটিকেও ছাড়িয়ে গেলেন। ইকোনোমি (৩.৮৮) একটু বেশি হলেও উইকেট নিয়েছেন পাঁচটি। ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট শিকার। ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচ করেছেন।
তাসকিনের ডেলিভারিগুলো যেন খেলতেই পারছিল না প্রোটিয়া ব্যাটাররা। সেটার প্রমাণ তিনি যেভাবে উইকেটগুলো নিয়েছেন। চারটি উইকেটই কটবিহাইন্ডের শিকার। জানেমান মালান, ডেভিড মিলার, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও কাগিসো রাবাদা প্রায় একইভাবে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। আর কাইল ভেরেইনেকে বোল্ড করেন তাসকিন।
সাকিব আল হাসান নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২টি উইকেট। তার শিকার প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও লুঙ্গি এনগিদি। তিনি ৯ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচ করেন। ইকোনোমি ২.৬৬! এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম একটি করে উইকেট নন। অন্য উইকেটটি রানআউট। কোনো উইকেট না পেলেও বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ৭ ওভারে ২৩ রান খরচ করেছেন, ইকোনোমি ৩.২৮!
প্রোটিয়া ব্যাটারদের মধ্যে জানেমান মালান ৩৯, কেশাভ মহারাজ ২৮, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ২০, ডেভিড মিলার ১৬ ও কুইন্টন ডি কুক ১২ রান করেন। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। মাত্র ৩৭ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে তারা। এটাই বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন ইনিংস।