ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভোগান্তি দূর করতে নরসিংদীতে মহাসড়কে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কে থাকছেন। এর পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা টহল দিচ্ছে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশের বিশেষ দল। পুলিশ জানায়, মহাসড়কের যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়। এতে তৈরি হয় যানজট। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও তৈরি হয়।
মাধবদী বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক অয়ন আহাম্মেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে কাজের চাপ অনেক বেশি। একটু বেখেয়ালি হলে ড্রাইভাররা মাথা নষ্ট করে দেয়। অনেকে মাধবদী শহর থেকে রিকশায় আশপাশের গ্রামে যায়। এই রিকশাগুলো মহাসড়ক পার হওয়ার সময় জ্যাম লেগে যায়।’
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নূর হায়দার তালুকদার জানান, এবার ঈদে যানজট এড়াতে নারায়ণগঞ্জের পুরিন্দা থেকে নরসিংদীর মরজাল পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার সড়কে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ টহল রয়েছে। মহাসড়কের পাশে কোনো বাজার বসতে দেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া বেপরোয়া গতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আছে স্পিডগান। কোনো চালক গতিসীমা লঙ্ঘন করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
নরসিংদী ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) শাখাওয়াত আলম জানান, কর্মকর্তা ও সদস্যসহ তাদের জনবল ৬৮ জন। ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভোগান্তি দূর করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আরও ২০ জন পুলিশ কাজ করছে। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সড়কে তৎপর আছেন।
তবে পুলিশের কড়া নজরদারিতে ভোগান্তির অভিযোগও করেছেন অনেকে।
আমেনা বেগম নামের একজন জানান, তিনি মাধবদী থেকে নরসিংদী যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। বাসস্ট্যান্ডে ট্রাফিক পুলিশের কড়া নজরদারি থাকায় লোকাল গাড়িগুলো ঠিকমতো থামছে না। তাই বয়স্ক ও অসুস্থরা গাড়িতে উঠতে পারছেন না। অন্য যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ড থেকে তিন গজ দূরে দৌড়ে বাসে উঠছেন।
লোকমান হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘মাধবদী বাসস্ট্যান্ডে লোকাল কোনো গাড়ি থামতে দেয়া হচ্ছে না। এখানে মহাসড়কের প্রশস্ত কম হওয়ায় একটা গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তুলতে গেলে যানজট লেগে যায়। তাই যাত্রী তুলতে গেলেই পুলিশ দৌড়ানি দিচ্ছে। এই স্ট্যান্ডে একটু বাড়তি জায়গা নেই। আমাদের এখান থেকে গাড়িতে উঠতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’