নরসিংদীর মাধবদীতে একটি পাইকারি কাপড়ের দোকানের আঁড়ায় ঝুলছিল কর্মচারীর দেহ। মাধবদীর গরুরহাট সংলগ্ন লটপট্টির মেসার্স রাসেল-শরিফ ক্লথ স্টোর থেকে শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কর্মচারীর নাম বলরাম চন্দ্র সাহা। তার বয়স ৪০ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌর শহরের উলুকান্দীর বাসিন্দা। নিহতের স্বজনরা মাধবদী পৌর শহরের কাশিপুর মহল্লাহ ভাড়াবাড়িতে থাকেন। মাধবদী থানার উপপরিদর্শক (এইআই) মোস্তাক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাধবদী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার সোলমান হোসেনের বড় ভাই দোকানের মালিক ওসমান গনি ভুঁইয়া বলেন, ‘শুক্রবার জুমার নামাজের আগে দোকান খুলতে গিয়ে আঁড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বলরামের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে মাধবদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
‘এক মাস আগে বলরাম তার দোকানে চাকরি নেন। তখন থেকে তিনি দোকানে একা ঘুমাতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও তিনি স্বাভাবিকভাবে দোকানদারি করেছেন।’
নিহতের বড় ভাই প্রশান্ত সাহা জানান, তারা পরিবারে তিন ভাই দুই বোন। বলরাম সবার ছোট। বাবা মারা যাওয়ার পরে মাধবদী পৌর শহরের কাশিপুর এলকায় নারায়ণ দাসের বাড়িতে ভাড়া থাকেন তারা। ‘বলরাম তার স্ত্রী ও ৮ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি রুপগঞ্জের কাঞ্চনে থাকেন। এসব নিয়ে সে কিছুটা মানসিকভাবে অস্থির ছিল। আয়-উপার্জন নিয়ে সংসার জীবনে স্ত্রীর সঙ্গে বলারামের সম্পর্কের অবনতিতে সে নিজের বাড়ি বা শ্বশুর বাড়ি না গিয়ে কর্মস্থলেই ঘুমাত।’
মাধবদী থানার এসআই বলেন, ‘খবর পেয়ে দোকান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় তার মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর সঠিক তথ্য জানানো যেতে পারে।’