আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার।
এ দিনটি ঘিরে নানা কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমে বাদ জোহর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে অংশ নেবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রাজধানীতে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন আয়োজন করেছে নানা কর্মসূচি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করবে।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের শরীক দলগুলো এবং ড. এমএ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মৃতিচারণ, মিলাদ মাহফিল ও গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করবে।
ওয়াজেদ মিয়ার ভাতিজা পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, সকালে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে লালদীঘি ফতেহপুরে জয়সদনে ওয়াজেদ মিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।
পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় জানান, ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
দুপুরে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে স্মৃতিচারণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। তার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ সভায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চায়ালি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
ড. ওয়াজেদ স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে রংপুর নগরীর কেরামতিয়া জামে মসজিদ, কোর্ট জামে মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদে আসরের নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত করা হবে। সন্ধ্যা ৭টায় ডব্লিউএসএস কার্যালয়ে ড. ওয়াজেদের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফ্রেরুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের লালদিঘীর ফতেহপুরে জন্মগ্রহন করেন।
২০০৯ সালের ৯ মে রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া।