নরসিংদীর বেলাবতে স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত জবানবন্দি দিয়েছে গিয়াস উদ্দিন শেখ। আজ সোমবার বেলা ৩ টা থেকে বিকেল সোয়া ৫ টা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হকের আদালতে মামলার একমাত্র আসামী হিসেবে এই জবানবন্দি দেন। এর আগে রবিবার রাতে নিহত রহিমা বেগমের ভাই মো. মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে বেলাব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জবানবন্দিতে সে জানায়, জুয়া খেলার টাকা না থাকায় সে হতাশাগ্রস্ত থেকে এবং স্ত্রী রহিমা বেগমের নামে এনজিওসহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের টাকা আত্মসাৎ করতে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার দায় বাড়ির রাস্তার জায়গা নিয়ে বিরোধ জেঠাতো ভাই রেনু মিয়ার চাপিয়ে তাকে হয়রানিতে ফেলে নিজের সমস্যার সমাধান করা।
এর আগে রবিবার সকালে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের নিজ বাড়ি থেকে স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৬), একমাত্র ছেলে রাব্বি শেখ (১২) ও একমাত্র মেয়ে রাকিবা শেখ (৭) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহকর্তা গিয়াস উদ্দিন শেখকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জিজ্ঞাসাবাদে গিয়াস উদ্দিন ছেলের খেলার ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে ও চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যার বর্ণনা দিয়ে দায় স্বীকার করে নেয়। আটকের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত ক্রিকেট ব্যাট ও চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, রাতে নিহত রহিমা ভাই শিবপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের কান্দাপাড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের জন্যে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সালাহউদ্দিন বলেন, মামলার এক মাত্র আসামী গিয়াসউদ্দিন শেখ স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় লিখিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।