নরসিংদীর শিবপুরে স্বামী মোফাজ্জল প্রধানকে খুন করার দায়ে থানার হাজতে বন্দী ৩৪ বছর বয়সি স্ত্রী ঝুনু বেগম। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আজ সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেন শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া। তিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন হয়েছে এ খবর পেয়ে আজ বেলা ১১টার দিকে ঝুনু বেগমকে আটক করে থানায় নিসে আসেন পুলিশ। আটককৃত ঝুনু বেগম খড়িয়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে। নিহত ৩৮ বছর বয়সি মোফাজ্জল প্রধান খড়িয়া গ্রামের মৃত ওয়াজউদ্দিন প্রধানের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ২০ বছরের আগে প্রেমে সম্পর্কের মাধ্যমে তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু তাদের। সংসারে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের দুজনের প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় ঝুনু বেগমকে অন্যত্র বিয়ে দেন তার বাবা মা। বিয়ের দুই দিন পরে ঝুনু বেগম ওই স্বামীকে ত্যাগ করে প্রেমিক মোফাজ্জলকে বিয়ে করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীর কাছে টাকা চায় স্বামী মোফাজ্জল হোসেন। স্ত্রী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। তাদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রডেও তৈরী মাটি কাটার শাবল নিয়ে স্ত্রীর উপর আক্রমণ করতে যায় স্বামী। এসময় স্ত্রী তার কাছ থেকে শাবল ছিনিয়ে নিয়ে স্বামীকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর সারারাত লাশ পাহারা দিয়ে শুক্রবার সকাল পৌনে ১০ স্ত্রী ঝুনু বেগম নিজেই থানায় খবর দেন।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ওই নারীকে স্বামী হত্যার দায়ে আটক করে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনী প্রক্রিয়া চলমান।