অনিয়মের অভিযোগ এনে গাইবান্ধার-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে ইসি। নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (১২ অক্টোবর) ইসি ভবনে ভার্চুয়ালি ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে, অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা ৫ আসনের উপনির্বাচনে, ৪৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে নির্বাচন।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি ও অন্য কমিশনাররা। অনিয়মের ছবি ধরা পড়ায় কেন্দ্রগুলো বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি জানান, নির্বাচন, নির্বাচনের মতোই করতে চায় কমিশন।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল।
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
তিনি আরও জানান, এ উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হচ্ছে ইভিএমে। ১৪২ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
গত ২২ জুলাইয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করা হয়।