জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে ‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ শীর্ষক একটি স্মারকগ্রন্থ।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল দিবস’র উদ্বোধন এবং ‘শেখ রাসেল পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
বইটি সম্পাদনা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। এটি শেখ রাসেলের দুরন্ত শৈশবের ধূসর পাণ্ডুলিপি নিয়ে রচিত হয়েছে।
‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ বইটি প্রকাশে পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের উপদেষ্টা এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শেখ রাসেল সম্পর্কিত সব গ্রন্থনা, প্রকাশনা ও গবেষণায় সহায়তা করে থাকেন ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
প্রযুক্তিনির্ভর গুণগত শিক্ষার মানোন্নয়নে সারা দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঁচ হাজারটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবেরও উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি করে মোট ৩০০টি শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউচারেরও উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের জীবনী নিয়ে নির্মিত ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’র ট্রেলারও প্রদর্শিত হয়। এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র চিত্রনাট্য রচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। এটি শিগগির মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধিসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে প্রাণ হারানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় তার বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে সারা দেশে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এতে বিজয়ীদেরও পুরস্কৃত করা হয় অনুষ্ঠানে। কুইজ বিজয়ীরা নিজেদের পুরস্কার উঁচিয়ে ধরে গণভবন প্রান্তে থাকা প্রধানমন্ত্রীর অভিবাদন গ্রহণ করেন।