২০১১ সালে ১ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিহীন সন্ধ্যায় নরসিংদী শহর অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মম ভাবে খুন হন দুই বারের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা জনবন্ধু লোকমান হোসেন। আজ মঙ্গলবার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে পৌর শহরের শালিধা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত এই নেতার সমাধিস্থলে দোয়া ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ সহ দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের জিএম তালেব হোসেন ও পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল মতিন ভূইয়া, পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্ছু প্রমূখ।
মেয়র লোকমান পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও শহীদ লোকমানের সহধর্মীনি তামান্না নুসরাত বুবলী, ছোট ভাই নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবং জনবন্ধু লোকমান ফাউন্ডেশনের সভাপতি কামরুজ্জামান, নরসিংদী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শামীম নেওয়াজ সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
এছাড়া জনবন্ধু লোকমান ফাউন্ডেশন নামে সংগঠনের ব্যানারে পালন করে আসছে বিভিন্ন কর্মসূচি। মঙ্গলবার ৭টায় লোকমান হোসেনের কবর জিয়ারত, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও কালো ব্যাজ ধারণ এবং সকাল ৮টায় তার কবরে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদন। পরে দুপুরে সত্তরস্থানে গণভোজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, আধুনিক নরসিংদীর রূপকার ছিলেন পৌর মেয়র লোকমান হোসেন। এই জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়ে দেখা দিয়েছিল। এই দিনে তাকে খুন করে চলে যায় খুনিরা। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার বিচারকাজ এখনও একরকম থমকে আছে।
হত্যার ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদের ছোট ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ ওরফে বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ মণ্ডল প্রায় আট মাস তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৪ জুন সালাহউদ্দিনসহ এজাহারভুক্ত ১১ আসামিকে বাদ দিয়ে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। তবে লোকমান হত্যা মামলার চার্জশিট নিয়ে সন্তুষ্ট নন নিহতের পরিবার ও মামলার বাদী বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামরুল এবং তার পরিবারের সদস্যরা।