নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাতে রায়পুরা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম এই তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-রায়পুরা থানার মির্জারচর ব্যাপারী বাড়ির আবু সিদ্দিক এর ছেলে রাসেল ওরফে এবাদুল্লাহ (৩৫) ও মির্জারচর বিরামপাড়া এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে রমজান (২৮)। এসময় তাদের দখল থেকে দুটি একনলা বন্দুক ও ১০ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে এই মামলায় শান্তিপুর এলাকার মহরম আলী ও বালুচর এলাকার মো: আব্দুল্লাহ নামে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, চর এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিককে হত্যার পরিকল্পনা করে প্রতিপক্ষ আসামীরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী এক সপ্তাহ পর গত ৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকালে মির্জারচর ইউনিয়নের শান্তিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেঘনার পাড়ে বেরিবাধের অগ্রগতি বিষয়ক সভা শেষ করে ফেরার পথে চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা: মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলা করেন।
হত্যার পর থেকে আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে রমজান এবং রাসেল ওরফে এবাদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় রমজানের হেফাজত থেকে একটি একনলা বন্দুক ও ৬ রাউন্ড গুলি এবং রাসেল ওরফে এবাদুল্লাহর হেফাজত থেকে একটি একনলা বন্দুক ও ৪ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যায় চেয়ারম্যান মানিক সরাসরি জড়িত ছিল বলে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই হত্যা মামলায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
গ্রেপ্তারকৃত রমজানের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাসহ মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে রায়পুরা থানায় ৪টি মামলা ও রাসেল ওরফে এবাদুল্লাহর বিরুদ্ধে ৪টি হত্যাসহ মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে ৫টি মামলা রয়েছে।