মাশরাফি বিন মুর্তজা নাকি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস? এর আগে ৪ বার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনাল খেলে একবারও হারেননি মাশরাফি। একই সমীকরণ কুমিল্লারও। এর আগে ৮ মৌসুমে ৩ বার ফাইনাল খেলে প্রতিবারই জিতেছে। আজ এই লড়াইয়ে এগিয়ে যাবে কে? শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি কুমিল্লার। লিটন দাস ও জনসন চার্লসের অর্ধশতকে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো বিপিএল শিরোপা কুমিল্লার। অধিনায়ক হিসেবে এটি ইমরুল কায়েসের তৃতীয় শিরোপা।
সিলেটের দেয়া ১৭৬ রান তাড়ায় নেমে ঝোড়ো শুরু করে কুমিল্লা। কিন্তু থিতু হতে পারেননি ওপেনার সুনীল নারিন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৫ বলে ফেরেন ১০ রান করে। পরের ওভারে আউট হন অধিনায়ক ইমরুল। ৩৪ রানে ২ উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান তোলে কুমিল্লা। তৃতীয় উইকেটে চার্লসের সঙ্গে ৫৭ বলে ৭০ রানের জুটি গড়ার পথে ফিফটি তুলে নেন লিটন। থামেন ৩৯ বলে ৫৫ রানে। যেখানে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার।
লিটনের আউটের পর মঈন আলীকে একপাশে রেখে তাণ্ডব চালান চার্লস। ৪১ বলে অর্ধশতক করার পর তানজিম হাসান সাকিব, রুবেল হোসেনদের ওপর আরও চড়াও হন। তাতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সিলেট। শেষ ২ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য ২১ রান প্রয়োজন পড়লে ৪ বল হাতে রেখে সমীকরণ মিলিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে তারা। ৭৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে চার্লস ৫২ বলে ৭৯ ও মঈন ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রে রাসেলের প্রথম ওভার থেকে ১৮ রান তোলে সিলেট। তবে দ্বিতীয় ওভারে তানভীর ইসলামের দারুণ এক ডেলিভারিতে রানের খাতা খোলার আগে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়। পরের ওভারে আন্দ্রে রাসেলের স্লোয়ারে কাটা পড়েন ১ রান করা মাশরাফি। দলকে বিপদমুক্ত করতে তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন শান্ত-মুশফিক। ৩৮ বলে ফিফটি করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক বিপিএলে ৫০০-এর অধিক রান করার নজির গড়েন শান্ত।
তবে অর্ধশতকের পর ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। মঈন আলীর অফ স্পিনে বোল্ড হন ৬৪ রান করে। ৪৫ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা। ভাঙে ৭৯ রানের জুটি। শান্তর আউটের পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। রায়ান বার্ল, থিসারা পেরেরা, জর্জ লিন্ডে, জাকির হাসানদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। সেই ঝড় সামলে নিজে ঝড় তোলেন মুশফিক। ৩৫ বলে ফিফটি করেন।
শেষদিকে মুশফিকের অপরাজিত ৭৪ রানে ১৭৫ করে সিলেট। ৪৮ বলের ইনিংসটি এই উইকেটকিপার সাজান ৫টি চার ৩টি ছয়ে। সিলেটের এমন সংগ্রহে অবশ্য কৃতিত্ব পাবেন কুমিল্লার ফিল্ডাররা। গোটা ইনিংসে ৫টি সহজ ক্যাচ ছাড়েন ইমরুলরা। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট মোস্তাফিজুর রহমানের।