নরসিংদীতে মাধবদী থানা পুলিশের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা প্রাপ্ত এক আসামী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার শিরংগল গ্রামে গিয়ে ছদ্মবেশে কৃষক সেজে সোবহান নামে ওই আসামীকে গ্রেপ্তার করেন এসআই বেলাল।
বিষয়টি মাধবদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করে বলেন, ২০১০ সালে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। দীর্ঘ বিচার কার্যশেষে চলতি বছরে ১২ জানুয়ারি মাধবদী থানায় বিজ্ঞ আদলতের রায় ও গ্রেপ্ততারি পরোয়ানার কাগজ আসে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় আসামীর স্থান নিশ্চিত হয় মাধবদী থানা পুলিশ।
পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন আরো বলেন, ওসি রকিবুজ্জামান স্যারের নির্দেশনায় এসআই বেলাল উদ্দিন ফকির ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযানে নামেন। পরে রবিবার শরিয়তপুর জেলার শরিয়তপুর সদর থানা ও নড়িয়া থানার শিরংগল গ্রামে আসামী সোবহান তার ৪র্থ স্ত্রীর বাড়িতে অবস্থান করছে। এরপর পুলিশ ছদ্মবেশে ওই বাড়ি গিয়ে সোবহান কে গ্রেপ্তার করে মাধবদী থানায় নিয়ে আসেন।
এসআই বেলাল উদ্দিন ফকির বলেন, ২০১০ সালে সদর উপজেলার কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দী গ্রামের মুকবুল হোসেন নামে এক মাছ বিক্রেতাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে এ ঘটনায় নিহত মুকবুল হোসেনের বাবা রেজাউল করিম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সোবহান সহ ১৪জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে ৯জনকে খালাস দেয় আদালত। বাকি পাঁচ জন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকায় তাদের যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে দুইজন কারাগারে রয়েছে। আর পালিয়ে থাকা যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী সুবহানকে গ্রেপ্তার করা হয় রবিবার। আর বাকি দুইজন পলাতক রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সোবহান নরসিংদী মাধবদী থানার কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ ডৌকাদী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন এর ছেলে। সোমবার তাকে নরসিংদীর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিকেলে আদালত তাকে কারাগারে দেয়।