লিওনেল মেসি বর্ষসেরা ফুটবলার হচ্ছেন সেটা জানাই ছিল। আগেরদিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, অন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারও যাচ্ছে আর্জেন্টিনায়। গাস্তন আদুল টুইট করেছেন। আরেকতি ঈংগিত মিলেছিল রেয়াল মাদ্রিদের আচরণে।
সেরা খেলোয়াড়, সেরা গোলকিপার এবং সেরা কোচ – তিনটি পুরস্কারেই মাদ্রিদের অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু মার্কা ও দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়ে দিল, প্যারিসে ফিফা দ্য বেস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে না মাদ্রিদের কেউ। তার মানে গোলকিপার ও কোচ এ দুটো পুরস্কারও পাচ্ছেন না থিবো কোর্তোয়া এবং কার্লো আনচেলত্তি।
বাস্তবেও তাই হয়েছে। মাদ্রিদের আনচেলত্তি ও ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাকে টপকে বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ এনে দেয়া কোচ লিওনেল স্কালোনি।
বর্ষসেরা গোলকিপারও বিশ্বকাপ ফাইনালের অন্তিম মুহূর্তে কোলো মুয়ানির শট আটকে দলকে টিকিয়ে রাখা এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এক্ষেত্রেও দুইয়ে মাদ্রিদের কোর্তোয়া, তিনে মরক্কোর হয়ে দুর্দান্ত বিশ্বকাপ কাটানো ইয়াসিন বুনু।
এই প্রথম ফিফার মূল তিনটি পুরস্কারই কোনো একটি দেশে গেল। আর্জেন্টিনার জয়জয়কার এখানেই শেষ নয়। ফিফার বর্ষসেরা সমর্থকের পুরস্কারও জিতেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপে দলে দলে কাতারে হাজির হয়ে যেভাবে সমর্থন দিয়েছেন এবং দলকে দেশে যেভাবে বরণ করেছেন; সেটা এতটাই অনন্য ছিল যে ফিফার পুরস্কারও পেয়েছেন তারা।
সমর্থকদের পক্ষ থেকে এ পুরস্কার বুঝে নিয়েছেন কার্লোস পাস্কেল। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ থেকে গত ১৩টি বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনাকে সমর্থন জানাতে ড্রাম নিয়ে গ্যালারিতে হাজির হয়েছেন তিনি। গতকাল স্টেজেও সে ড্রাম নিয়ে উঠেছেন ৮২ বছর বয়সী।