লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা দলের বাংলাদেশ সফরে আসা নিয়ে যদি কেউ আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে খুব বেশি কিছুর জানার আগ্রহ নিয়ে বসে থাকেন, তবে তাকে আজ হতাশ হতে হয়েছে। মাত্রই তো গতকাল আর্জেন্টিনার দূতাবাস হলো বাংলাদেশে, এর মধ্যেই আর্জেন্টিনা দলের বাংলাদেশে আসা নিয়ে কিছু বলতে যাওয়ার বাস্তব ভিত্তিও আসলে ছিল না।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়েরো কিছু বলেনওনি। বাফুফে ভবনে আজ সৌজন্য পরিদর্শনের পর মেসিদের নিয়ে কিছু না বললেও বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধতা ঠিকই জানিয়ে দিয়েছেন কাফিয়েরো।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন বলে বাফুফে ভবনে উৎসবের আমেজ ছিল বেশ। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এরপর বাফুফের টার্ফে আয়োজন করা হয় অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েদের লাল ও সবুজ দলের প্রীতি ম্যাচ।
ম্যাচ শেষে পদক বিতরণ শেষে মেয়েদের সঙ্গে সেলফিও তুলেছেন আর্জেন্টাইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাফিয়েরো। দুই দলের অধিনায়ককে উপহার দিয়েছেন মেসিদের জার্সি। এরপর সাংবাদিকদের উদ্দেশে কাফিয়েরো বলেছেন, ‘এখানে আসতে পারাটা আমার জন্য দারুণ সম্মানের। আপনাদের বলতে চাই, এখানে এসে মনে হয়েছে নিজের ঘরেই আছি। কারণ, আপনারা বিশ্বকাপেও আমাদের সমর্থন জুগিয়েছেন। আজ এখানে এসেও সেটা টের পেয়েছি আরেকবার।’
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস খোলায় দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন কাফিয়েরো।
আর্জেন্টিনা থেকে রিভার প্লেটের কয়েকজন কর্মকর্তাও এসেছেন বাংলাদেশে, আবাহনী-মোহামেডান-বসুন্ধরাসহ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে এ দেশে তাদের একাডেমি করার সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন তারা। সেটির অংশ হিসেবে আজ তারা বসুন্ধরা ও আবাহনী ক্লাব ঘুরে এসেছেন।
তবে রিভারপ্লেটের একাডেমি কিংবা আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাফিয়েরোর সঙ্গে সাক্ষাতে কোনো কিছুই এখনো ঠিক হয়নি বলেই জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘এটা একেবারেই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রিভার প্লেটসহ কয়েকটি ক্লাবের প্রতিনিধিরা আমাদের কয়েকটি ক্লাব পরিদর্শন করেছে। আলোচনা করেছে কী সাপোর্ট পেতে পারে এবং তারা কী ধরনের সুবিধা দিতে পারে। সবকিছু খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং তারা এগুলো নিয়ে কাজ করছে।’
তবে তারা কেউ কিছু না বললেও মেসিদের বাংলাদেশে আসা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে গেলেন। তার কথা, ‘এটা একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। তাছাড়া আমাদের সময়ও মিলতে হবে। তাদের ফুটবল মৌসুম, আমাদের মৌসুম সবকিছু দেখে… যেহেতু দূতাবাস উদ্বোধন হয়েছে, তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছেন, তারা ফুটবল ফেডারেশনে এসেছেন। আমি মনে করি (আর্জেন্টিনা দলের ঢাকা আগমনের) খুবই কাছাকাছি আছি। ওই জায়গাতে যেতে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না।’
এরপর আবার জোর দিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘অবশ্যই ওরা আসবে। ২০১১ সালে এসেছিল। এখন তো কূটনৈতিক সম্পর্কের দরজা খুলল। আমি মনে করি আর্জেন্টিনা দলের আসা সময়ের ব্যাপার।’