নরসিংদীর খুচরা বাজারে কিছুটা কমেছে সবজি ও ডিমের দাম, তবে বেড়েছে মাছ ও মুরগীর দাম। স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। বাজার তদারকি না হলে আসন্ন রোজায় সবধরনের নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়ার আশংকা ক্রেতাদের।
শুক্রবার নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী শিক্ষাচত্বর নতুন বাজার ঘুরে বাজার দরের এম চিত্র পাওয়া গেছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে মুরগীর দাম। কক মুরগী বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজি, ব্রয়লার ২৪০ টাকা। তবে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০টাকায়। গরুর মাংস আগের দামে ৭০০টাকা ও খাসি ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে ইলিশ, রুই, কাতল, চিংড়িসহ সব রকমের ছোট মাছের দাম। ইলিশ আকার ভেদে ৭ শত থেকে ৮ শত টাকা কেজি, রুই ৩৫০ টাকা, কাতল ৩২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা। ছোট মাছের মধ্যে টেংরা ৫৫০ টাকা, কাচকি ৬০০টাকা, চাপিলা ৫০০টাকা। কিছুটা কমেছে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের দাম। ১৮০ টাকা কেজি তেলাপিয়া ও ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে পাঙ্গাস মাছ।
সবজির মধ্যে কাচা মরিচের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। স্থিতিশীল রয়েছে সিম, আলু, টমেটো, খিরা, ফুলকপিসহ সকল শাকসবজির দাম। ফুল কপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, শিম ৫০ টাকা,খিরা ৪০টাকা, লেবু হালি ১০০-১২০ টাকা, ওস্তে ৮০-১০০ টাকা কেজি।
চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় মুরগী ও মাছেরর দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। আসন্ন রমজানে বাজার তদারকির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখার দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।