নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর (১৫) বিয়ের আয়োজন। তাই সকাল থেকে পুরো বাড়িতে চলছিল আত্মীয়-স্বজনদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস। এই খবর পৌঁছে যায় প্রেমিক জিহাদের (২১) কানে। মুহূর্তের মধ্যে তিনি হাজির হন প্রেমিকার বাড়িতে। সেখানে গিয়ে বিয়ের দাবিতে শুরু করেন চিৎকার। তখন বর পক্ষ বিয়ের আসর থেকে চলে যায়। শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাড়ইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আর প্রেমিক জিহাদের বাড়ি উপজেলার শিলমাড়িয়া এলাকায়।
ওই স্কুলছাত্রীর প্রতিবেশী হারুন আলী বলেন, মেয়েটি স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা গাড়িচালক। মেয়ের বিয়ের জন্য নাটোরের এক ছেলের সঙ্গে শুক্রবার পারিবারিকভাবে বিয়ের দিন ঠিক হয়। সে মোতাবেক বিয়ের সব আয়োজন করা হয়। কিন্তু মেয়েটির আরেক জায়গায় সম্পর্ক থাকায় বরপক্ষ বিয়ে ভেঙে চলে যায়। তবে রাত ৮টা পর্যন্ত ওই ছেলেটিকে বিয়ের দাবি নিয়ে মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
কনের চাচা জালাল উদ্দিন বলেন, বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আমার ভাতিজির প্রেমিক দাবি করা ছেলেটির অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়। ছেলের অভিভাবকরা এলে শুক্রবার রাতেই ভাতিজির সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়। মেয়ের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পুঠিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফ খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। মেয়েটিও তার প্রেমিককে বিয়ে করতে চাওয়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।