মাদারীপুরের শিবচরে হাইওয়ে এক্সপ্রেসের রেলিং ভেঙে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রোববার সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ১৪ জন আর হাসপাতলে আনার পর মারা যান পাঁচজন।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, গোপালগঞ্জের মাসুদ হোসেরন মেয়ে সুইটি আক্তার (২৫), একই জেলার বনগ্রামের শামসুল শেখের ছেলে মোসতাক আহমেদ (৪০), একই জেলার ইসমাইল হোসেন (৫৫), তৈয়ব আলীর ছেলে মো. হেমায়েত হোসেন (৩০), নড়াইলের বকুল শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার (৪০), গোপালগঞ্জের নওশের আলী শেখের ছেলে সমীর শেখ (২০), কাঞ্চন শেখের ছেলে কাদির শেখ (৪০) ও অনাথি নাথ মন্ডল (২৫)।
পুলিশ জানায়, রোববার সকালে খুলনা থেকে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সিমানা এলাকায় পৌঁছালে বাসটির সামনের একটি চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হয়। এতে আহত অন্তত ১৫ জনকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছে। বাসটি খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।