চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে দেশ। বৈশাখ সমাগত হওয়ায় সেই তাপ কমবে বলে আশা এমনিতেও কম ছিল। এবার আবহাওয়া অফিসই জানাচ্ছে, গত কয়েক দিন ধরে দেশব্যাপী বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি নেই অন্তত আরও এক সপ্তাহ। বরং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগে এই তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যার পর আবহাওয়া অফিস থেকে তাপপ্রবাহের এই বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
সাধারণত ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা স্থায়ী হলে মৃদু এবং ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা স্থায়ী হলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অব্যাহত থাকলে তাকে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়া অফিসের হিসাবে গত কয়েকদিন ধরে দেশে সেই মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহই বয়ে চলেছে। আর তাদের সতর্কবার্তা বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা এমন তাপপ্রবাহ পরবর্তী সাত দিন ধরেই অব্যাহত থাকতে পারে।
এই সতর্কবার্তা বিশেষ করে দুঃসংবাদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের বাসিন্দাদের জন্য। এতে বলা হয়েছে, এই তিনটি বিভাগের দুয়েক জায়গায় আগামী সাত দিনে বয়ে যেতে পারে তীব্র তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়া অফিসের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পূর্বাভাসেও সারা দেশেই তাপপ্রবাহ বয়ে চলার তথ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশের আট বিভাগের যে ৪৪টি পর্যাবেক্ষণাগারের তাপমাত্রার তথ্য এতে সংযোজন করা হয়েছে তার মধ্যে কেবল নীলফামারীর ডিমলা এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও টেকনাফেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পাওয়া গেছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম। আর দেশের সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে চুয়াডাঙ্গায়— ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ফরিদপুর, রাজশাহী, মোংলা ও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। ঢাকা-টাঙ্গাইলসহ আরও ১৫টি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি।
শুধু তাই নয়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বৃষ্টিপাতের রেকর্ডও পাওয়া যায়নি ৪৪টি পর্যাবেক্ষণাগারের তথ্যে। পূর্বাভাস বলছে, রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।