1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

সিটি নির্বাচনেও বিএনপির ঘোমটা পরা প্রার্থী থাকবে: কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১০৩ পাঠক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিটি নির্বাচনে আমরা তাদেরকে (বিএনপি) আমন্ত্রণ করছি না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তাদের অধিকার। জাতীয় নির্বাচনে যেমন সিটি নির্বাচনেও তেমন। আমরা লক্ষ্য করেছি, বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ ছিল না, কিন্তু ঘোমটা পরে সব খানেই প্রার্থী ছিল। এই ঘোমটা পরা প্রার্থী কিন্তু সিটি নির্বাচনেও থাকবে। সিলেটের আরিফ, বর্তমান মেয়র অলরেডি ঘোষণা দিয়েছেন। কাজেই অন্যান্য সিটিতেও তাদের ঘোমটা পরা স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। এটা বিএনপির রাজনীতির আরেক ভন্ডামি। এটা ভন্ডামি, তারা করছে।

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নির্দিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উক্ত জেলামূহে দলীয় সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনেও আমাদের টার্গেট মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বিএনপির নেতৃত্বে অপশক্তির যে বিষ বৃক্ষের জন্ম দিয়েছে, এই বিষ বৃক্ষের উদঘাটন হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম লড়াই চলবে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি এখনো স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত দিবসগুলোকে অস্বীকার করে। তারা পালন করে না। তারাও উপেক্ষা করে। এর মধ্যে ১৭ এপ্রিল একটা। এই দিন দেখবেন বিএনপির কোন কর্মসূচি নেই। তারা পালন করে না। যে ভাষণ একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, ৭ মার্চ তারা স্বীকারও করে না, পালনও করে না। এরা নাকি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দেখবেন, বিজয় দিবসে তাদের প্রোগ্রামে বঙ্গবন্ধু নেই, স্বাধীনতা দিবসেও দেখবেন বঙ্গবন্ধু নেই, জিয়াউর রহমান যা শুরু করে দিয়ে গেছে, সেই ধারা বিএনপিতে এখনো অব্যাহত রয়েছে। তারা বিজয় দিবস পালন করে তাদের বিজয়ের মহানায়ক নেই। তারা স্বাধীনতা দিবস পালন করে তাদের স্বাধীনতার স্থপতি নেই। ক্ষমতায় থাকতে তারা এটা করেছে। এখনো তারা একই ভাবধারায় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তারা ধারণ করে না। স্বাধীনতার আদর্শ তারা বিশ্বাস করে না। এটা আজকে বাংলাদেশের প্রমাণিত সত্য।

কাদের বলেন, তারা স্বাধীনতার ঘোষক বলে যাকে দাবি করেন, যিনি ঘোষণার অন্যতম পাঠক। আবুল কাশেম সন্দীপ, এম এ হান্নান, এরকম অনেক পাঠক ছিল। জিয়াউর রহমানও তাদের মধ্যে একজন ঘোষণার পাঠক। ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। ঘোষণার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কারো ছিল না। বঙ্গবন্ধুরই একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার বৈধ অধিকার যার নেই, তাকে তারা ঘোষক বানাতে চায়। একটা বাসির ফুতে স্বাধীনতা হয়নি। সংগ্রাম আন্দোলনের একটা ইতিহাস যেখানে বীরের বীরত্ব আছে, পাশাপাশি ষড়যন্ত্রও আছে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ ইতিহাসে কূটনীতিক হতে পারে, কিন্তু নায়ক মহানায়ক তাকে বানানো তাদের একটা উদ্ভট কল্পনা যার সাথে বাস্তবের কোন সংযোগ নেই। এটা বিকৃত ইতিহাসের নির্লজ্জ বিবৃতি যে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। জিয়াউর রহমান ইতিহাসের নায়ক নয়, ইতিহাসের কূটনীতিক। তারা আজকে অনেক কিছু বলে, তাদের বলার কোন শেষ নেই। আমরা আমাদের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাব। এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের দেশ, এই দেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের দেশ।

তিনি বলেন, তারা বলে ত্রিশটির বেশি সিট নাকি আওয়ামী লীগ পাবে না, প্রমাণ করবেন কীভাবে? নির্বাচনে আসেন, জনগণ ভোট দেবে। মনে কি নেই ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা যে বলেছিলেন- আওয়ামী লীগ ত্রিশটা আসনও পাবে না। মনে আছে?

তিনি আরো বলেন, মির্জা ফখরুলের দেশনেত্রী এ কথা কি বলেন নি? এখন আবার সেই পুরনো দম্ভোক্তি তারা করে যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে তাদের কপালে ৩০ সিট আছে বলেই মনে করে, তাদের কপালে ৩০ সিট জুটবে কিনা সেটা ভেবেই বিএনপি নির্বাচন বানচালার চক্রান্ত করছে। নিজেরাই ৩০ আসন পায় কিনা দেখুক। দিন যতই যাচ্ছে তারা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পাবলিক খায় না, পাবলিক যদি না খায় ঐ আন্দোলনের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সেই আন্দোলনের ডাক দেয়া যাবে ঢেউ আসবে না। ডাক দেয়া যাবে জোয়ার আসবে না। এখন পর্যন্ত আসেনি। ভবিষ্যতেও আসার সম্ভাবনা নেই। মরুভূমিতে বৃষ্টি ঝরানোর চেষ্টা করছে, লাভ নাই। আপনাদের অঙ্গন মরুভূমি হয়ে গেছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ খুলনা বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD