নারায়ণগঞ্জে খাদিজা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামির নাম শামীম মিয়া (৪৫)। তিনি মুন্সিগঞ্জের নয়াগাঁ পাড়ার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। স্ত্রী খাদিজা ও ৪ বছরের মেয়ে আদিবাকে নিয়ে বন্দরের একরামপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শামীম।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে খাদিজাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন শামীম। ২০১৩ সালের ২৫ জনুয়ারি রাতে ঘরের ভেতরে চাপাতি দিয়ে গলা কেটে খাদিজাকে হত্যা করেন শামীম। এরপর ওই চাপাতি বালিশের নিচে রেখে শিশু কন্যাকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যান। পরদিন সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে খাদিজার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে শামীমকে একমাত্র আসামি করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই বছরই গ্রেপ্তার হন শামীম। এরপর পুলিশ তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার সাক্ষ্য, তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকসহ অন্যদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার খাদিজা হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন। রায়ে শামীমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালত উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।