দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা ২৯ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত বছরের ৪ নভেম্বর ৮৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরপর থেকে প্রতিদিন গড়ে শনাক্তের সংখ্যা ৭০ এর নিচে ছিল। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (২৭ মে সকাল ৮টা থেকে ২৮ মে সকাল ৮টা) করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৩ জন। যা গত ২৯ সপ্তাহের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী। এ ৭৩ জন নিয়ে সরকারি হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭১ জন রোগী শনাক্ত হলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১ হাজার ৩৩১টি, এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ হাজার ৩২৭টি। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ জন, তবে এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে দেশে গত ৬১ দিন করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। গত ২৮ মার্চে একজনের মৃত্যুর হয়। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ২১২ জন। আর মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৪৬ জন।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হওয়া ৭৩ জনের ৫৪ জনই ঢাকার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে গাজীপুরে ১৪ জন, সিলেটে ৪ জন আর বরিশালে একজন শনাক্ত হয়েছেন।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এর ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যুর কথাও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবে দেশে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হন। আর ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়। যা দেশে মহামারিতে একদিনে সর্বোচ্চ।