সৌদি আরবে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় সম্মিলন পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। লাখ লাখ হাজির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফাতের ময়দান।
বাংলাদেশিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এ হজ পালন করছেন। এ বছর বাংলাদেশের এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ মুসলিম হজ করতে সৌদি আরবে জড়ো হয়েছেন।
হজযাত্রীরা মিনা যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু করেন হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। গত সোমবার সারাদিন তারা মিনায় অবস্থানের পর আজ মঙ্গলবার হজযাত্রীরা এসেছেন ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে। প্রতি হিজরি সনের ৯ জিলহজ মুসলিম উম্মাহকে হজ পালনে ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে হয়।
নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘আল-হাজ্জু আরাফাহ অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ।’ এ দিন মহান আল্লাহ সবচেয়ে বেশি মানুষকে ক্ষমা করেন। ক্ষমার আশায় সারাবিশ্ব থেকে আগত হজযাত্রীর আরাফায় তাকবির, তালবিয়া, ক্ষমা প্রার্থনা ও কান্না-রোনাজারিতে ব্যস্ত।
মসজিদ হারামাইন শরীফাইন (Haramain Sharifain) ফেসবুক পেজ ও সৌদির টিভি চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে হজের যাবতীয় কার্যক্রম। এতে দেখা যায়, হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আরাফাতের ময়দান। সেখানে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল মুসল্লিরা।
আরাফাত দিবসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ নামিরা থেকে হজের খুতবা ও নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। এবার মসজিদে নামিরা থেকে হজের ভাষণ দেবেন সৌদি আরবের সিনিয়র উলামা কাউন্সিলের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মুহাম্মদ বিন সাঈদ।
আরাফাত দিবসে দিনভর কান্নাকাটি দোয়া-ইসতেগফারের পর সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে হাজিরা রওনা হবেন মুজদালিফার দিকে। যেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাবেন তারা। আর এর মাধ্যমেই পালিত হবে হজ। বুধবার হাজিরা উদযাপন করবেন পবিত্র ঈদুল আজহা।