রাজধানীর গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা করার প্রতিবাদে আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা গুলশান-১ নম্বরে সড়ক অবরোধ করেন। এতে প্রায় ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় গুলশানসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে। পরে ব্যবসায়ীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মার্কেটটি সিলগালা করে দেন। এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা গুলশান শপিং সেন্টারের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। সড়ক অবরোধের কারণে গুলশান, বনানী, মহাখালী, রামপুরা, বাড্ডা, হাতিরঝিলসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন সড়কে চলাচলরত সাধারণ মানুষ। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গুলশান থানা পুলিশ ব্যবসায়ীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে পুলিশ আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা পুলিশ ও সড়কে চলাচল করা যানবাহন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়।
মার্কেট ছাড়লে পরবর্তীতে আর সেখানে দোকান না পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই ব্যবসায়ীরা মূলত জায়গা ছাড়তে নারাজ।
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘গুলশান-১ নম্বরে সিটি করপোরেশন একটি মার্কেট সিলগালা করার কারণে ব্যবসায়ীরা সড়কে অবস্থান নেন। আমরা তাদের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করার জন্য বলেছি। তারা আমাদের কথা শোনেননি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। অবরোধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে আটকা পড়ে জনগণের ভোগান্তি হয়। তখন আমরা তাদের কিছুটা প্রেশার দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিই।’
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া বা ব্যবসায়ীদের ইটপাটকেল ছোড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ থেকে গত রোজার আগে ব্যবসায়ীদের মার্কেটটি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। সে সময় তারা এক মাস সময় চান। কিন্তু সময় পার হওয়ার পরও মার্কেট থেকে সরে যাননি ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমও মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে। তারা বলেছে, যেকোনো সময় এই মার্কেটে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। এসব কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নিয়ম মেনে মার্কেটটি তালাবদ্ধ করেছে।