নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষে দুই নেতা-কর্মী নিহতের মামলার প্রধান আসামি কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব এবং সাবেক সংসদ সদস্য খায়রুল কবির খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুশতাক আহমেদ এ আদেশ দেন। বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান নরসিংদী আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।
তিনি জানান, খায়রুল কবির খোকনের বৃহস্পতিবার হাজিরা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চ আদালতের চার সপ্তাহ জামিন শেষে আজ খোকনের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হওয়ার সময় চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তার আবেদন নাকচ করা হয়।’
খায়রুল কবির খোকনের আইনজীবী আব্দুর কাদের টিটু সাংবাদিকদের বলেন, ‘অসুস্থতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আত্মসমর্থনের জন্য সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করেন।’
জানুয়ারি মাসে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি এবং মেহেদী হাসান রিফাতকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি করা হয়।
এ কমিটি বাতিলের দাবিতে ২৫ মে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের সময় গুলিতে ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলাম নিহত হন।
এ ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে প্রধান আসামি এবং তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩৫ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা হয়। সাদেকুরের বড় ভাই আলতাফ হোসেন এ মামলা করেন।