বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন উল্লেখ করে এর স্বপক্ষে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এই তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন তিনি।

ভিডিওর বিবরণে বলা হয়, ‘সদ্য স্বাধীন দেশ, ভঙ্গুর অর্থনীতি, সমাজ, বৈদেশিক যোগাযোগ, সেই অবস্থাকেও চ্যালেঞ্জ করে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু যারা দেশকে স্বাধীন হতে দিতে চায়নি, তারা নিশ্চয়ই দেশকে গড়তে দিতে চাইবে না। এক্ষেত্রে একক বাধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তার নৈতিক বোধ। এজন্য তাকে সপরিবারে হত্যা করল ঘাতকরা। শুধু তাই নয়, হত্যাকাণ্ড ও বাঙালির পাল্টা জাতীয়তাবাদ বাস্তবায়নের নজির হিসেবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হলো।’

এতে বলা হয়, ‘যেন ঘাতকেরা জাতিকে রক্ষা করেছেন। তৎকালীন ব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেন কেউ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না চাইতে পারে।’

ভিডিওতে বলা হয়, “কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ‘দায়মুক্তির সংস্কৃতি’ চালু করেছিলেন। যার মাধ্যমে কেউ যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না চাইতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হয়েছিল।”

এতে আরও বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের প্রথম স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দিয়ে আলিঙ্গন করেছিলেন।’

ভিডিওতে বলা হয়, ‘বিদেশ থেকে চোখের জল ফেলা ছাড়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার কিছুই করার ছিল না। তারা দেশের বাইরে থেকে তাদের সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।’

ভিডিওর বিবরণে আরও বলা হয়, ‘১৯৮০ সালে নোবেল বিজয়ী শন ম্যাকব্রাইড তিনজন বিশিষ্ট ব্রিটিশ আইনজ্ঞের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার ও চার জাতীয় নেতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য প্রথম তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন। তবে জিয়াউর রহমান তাদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেননি, যা সুষ্ঠু তদন্তে বাধা সৃষ্টির একটি স্পষ্ট প্রমাণ।’

‘খুনিদের মধ্যে রশিদ জার্মানিতে, ডালিম স্পেনে, নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের দূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।’

ভিডিওতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জেনারেল জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি বোঝা তাই কোনো রকেট সায়েন্স নয়।’

দেশে আজ জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য।