দেশে মোট জনসখ্যার ৩৯.১% ব্যাক্তি ধূমপানের সাথে জড়িত এর মধ্যে ৬০.৬% ধূমপায়ী পুরুষ। যারা সর্বক্ষণ ধূমপানে অভ্যস্ত তাদের জন্যও বাঁচার উপায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধূমপানে অভ্যস্তরা নিজের ফুসফুস পরিষ্কার করতে পারেন নানা উপায়ে। ধূমপান করলে রক্তে নিকোটিনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। একইসঙ্গে ফুসফুসে ধোয়া জমতে থাকে। এসব থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব এমনটাই জানাচ্ছেন খোদ বিশেষজ্ঞরাই। তবে ধূমপান ছাড়তে পারলে তার থেকে বড় আর অন্য কিছু হতে পারে না। তবে যদি কোনোভাবেই ধূমপান ছাড়তে না পারেন, তবে কয়েকটি পথ অবলম্বন করে নিজের ফুসফুসকে বাঁচাতে পারেন।
যোগ ব্যায়াম অভ্যাস করুন: প্রাণ ভরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে শরীর থেকে টক্সিন বেরতে সাহায্য করে। যোগ ব্যায়াম অভ্যাস করলে ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখা সম্ভব হয়।
পুদিনা-তুলসী পাতার ব্যবহার: নানা ধরনের ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পুদিনা-তুলসী এমনকী বাসক পাতার রস খেতে পারেন।
ডায়েটে আনারস: আপনার ডায়েট চার্টে এমন খাবার রাখুন যাতে অনেক বেশি করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিন সি রয়েছে। এক্ষেত্রে আনারস বা নানা ধরনের বেরি, পেয়ারা ইত্যাদি ফল দারুণ কাজ দেবে।
আদার রস: গলা খুসখুস বা সর্দি-কাশিতে যেমন দারুণ কাজ দেয় আদা, তেমনই ফুসফুসের ময়লা পরিষ্কার করতেও এর জুড়ি নেই। এক টুকরো আদা মুখে পুরে নিন। এতে দারুণ কাজ দেবে।
গাজরের রস: গাজরের রস শুধু ফুসফুস নয়, শরীরের নানা দূষিত পদার্থকেও বাইরে বের করে দেয়। প্রতিদিন অল্প করে গাজরের রস খেলে শরীর অনেক চাঙ্গা থাকে।
লেবুর রস: শরীর সুস্থ রাখতে লেবুর রসের কোনো জুড়ি নেই। প্রতিদিন এক গ্লাস লেবুর সরবত ফুসফুসের সঙ্গে সারা শরীরকে সুস্থ রাখে।
গ্রিন টি: নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ফুসফুস সুস্থ থাকতে দারুণ সাহায্য করে।
দুগ্ধ জাতীয় খাবার না: ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে হলে দুগ্ধজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। কারণ দুধ জাতীয় খাবার পরিষ্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।