এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই হলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডির পাল্লেকেল্লেতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৪৮ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান তুলেছে ভারত। যেখানে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাছাড়া ৮২ রান করেছেন ইশান কিষাণ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ওপেনার রোহিত শর্মাকে বোল্ড করেন পাক পেসার শাহিন আফ্রিদি। সাজঘরে ফেরার আগে ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ১১ রান। ওয়ানডাউনে নেমে তেমন ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি বিরাট কোহলিও। মাত্র ৪ রান করে তিনিও শাহিনের বলে বোল্ড হন।
চতুর্থ উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছুটা মারমুখী হন শ্রেয়াশ আইয়ার। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। ৯ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। শুরু থেকেই ধীরস্থির খেলতে থাকা ওপেনার শুভমান গিল আউট হন ৩২ বলে ১০ রান করে। মাত্র ৬৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত।
এরপর ভারতের গল্পটা নতুন করে লিখেন ঈশান কিশান ও হার্দিক পান্ডিয়া জুটি। ১৩৮ রানের জুটি গড়তে গিয়ে শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, আঘা সালমানকে তুলোধুনো করেন। তবে আশা জাগিয়ে একজনও যেতে পারেননি সেঞ্চুরির কাছে। হাত খুলে মারতে গিয়ে হারিস রউফের বলে ক্যাচ তুলে দেন ঈশান। তার ব্যাট থেকে আসে ৮১ বলে ৮২ রান।
হার্দিকও মারমুখী হয়ে থেমে যান শাহীন আফ্রিদির বলে আগা সালমানকে ক্যাচ দিয়ে। দলের পক্ষে ৯০ বলে সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। একই ওভারের শেষ বলে ২২ বলে ১৪ রান করা জাদেজাকে ফিরিয়ে দেন শাহিন। এরপর আর কেউ খেলতে পারেনি বড় কোনো ইনিংস। শেষ দিকে যাসপ্রিত বুমরাহর ১৪ বলে ১৬ রানের সুবাদে ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট ভারত।
পাকিস্তানের হয়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট শিকার করে দিনের সেরা বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদি। অন্য দুই পেসার নাসিম শাহ ও হারিস রউফ গতি দিয়ে ভারতের রানের লাগাম টেনে ধরেন। তিন জন মিলেই ভাগাভাগি করেছেন ভারতের ১০ উইকেট। তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসিম ও রউফ।