২১ রানে হেরে এশিয়া কাপের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো টাইগারদের। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে, দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর মাঠে নামে সাকিবরা। ফলে ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটে নেমে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ টিম।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। লংকানদের দেয়া ২৫৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশ থেমেছে ২৩৬ রানে।
ম্যাচে ব্যর্থ লিটন দাস, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ফলে বাগে পেয়েও লঙ্কানদের বধ করা হলো না। সুপার ফোরে টানা দুই ম্যাচ হেরে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে টাইগাররা। অলৌকিক কিছু না ঘটলে ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।
এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানরা খুব ভালো করছিল এমনও না। দলীয় ৩৪ রানে দিমুথ করুনারত্নের (১৮) উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ১০৮ রানের মাথায় আরেক ওপেনার পাত্তুম নিশঙ্কাও (৪০) বিদায় নেন। অর্ধশতক পূর্ণ করে কুশল মেন্ডিসও বিদায় নেন ১১৭ রানের মাথায়।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা লঙ্কানরা ১৪৪ রানে আশালাঙ্কা (১০) ও ১৬৪ রানে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে হারায়।
তবে অন্যদিকে ততক্ষণে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন সামারাবিক্রমা। তার সঙ্গে এ সময় জুটি করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। দুজনের জুটিতে ৬০ রান যোগ হয়। বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা শানাকা ৩২ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত স্মারাবিক্রমার ব্যাটে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। সামারাবিক্রমা ৭২ বেল ৮ চার ও ২ ছয়ে ৯৩ রান করেন।
বাংলাদেশ ব্যাটে নেমে মিরাজ ২৮ রানের আউট হয়ে সাঁজঘরে ফিরেন। এরপর ৪৬ বলে ২১ রান করে আউট হন নাঈম। তারপর লিটন, সাকিব, মুশফিক কেউ দলের হাল ধরতে পারেননি। বরং দলের হয়ে ৯৭ বলে ৮২ রানের বড় ইনিংস করেন তাওহীদ হৃদয়। সবশেষে ২১ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।