অবশেষে দেশের সড়কে ৩৫০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। তবে এ ধরনের মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায় আমদানি করা যাবে না। শুধু বিদেশ থেকে বিযুক্ত অবস্থায় (সিকেডি) আমদানি করে দেশের কারখানায় সংযোজন করে বাজারজাত করা যাবে।
এর আগে দেশের বাজারে ১৬৫ সিসির বেশি সক্ষমতার ইঞ্জিন মোটরসাইকেলের অনুমোদন ছিল না। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন কোম্পানি উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল এখন স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। এখন বেশি সক্ষমতার ইঞ্জিন বাধা দূর হওয়ায় অনেক কোম্পানি এ খাতে বিনিয়োগ করবে। এটি দেশের জন্য দারুণ খবর।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, মোটরসাইকেলের সিসি যত বেশি, নিরাপত্তা তত ভালো। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সিসি সীমা বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথম মোটরসাইকেলের সিসি সীমা ১৫০ থেকে ১৬৫-তে উন্নীত করে। যা ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের আমদানি নীতির জন্য প্রযোজ্য ছিল। এরপর কয়েকটি কোম্পানি সিসি সীমা তুলে নেওয়ার দাবি করে। কেউ কেউ আবার সিসি সীমা তুলে দেওয়ার বিপক্ষেও অবস্থান নেয়।
মোটরসাইকেল খাতের দুই সংগঠনের একটি মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) দায়িত্ব দেয়।
২০২১ সালের শুরুতে বিটিটিসি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্ষমতা বা সিসি সীমা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে। তারা বলেন, মোটরসাইকেলের সিসির সঙ্গে গতির কোনো সম্পর্ক নেই। ৩০০ বা ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ যে গতি তোলা সম্ভব, ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেলেও একই গতি তোলা যায়। বিশ্বের কোথায় এমন সিসি সীমা নেই।