1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

নরসিংদী মুক্তদিবস আজ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৫ পাঠক

১২ ডিসেম্বর নরসিংদী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকবাহিনী। ১৯৭১ সালের এই দিনে সম্মিলিত মুক্তি বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাকবাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে নরসিংদী শহরসহ গোটা জেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ দিনটি নরসিংদীবাসীর কাছে অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল ও স্মরণীয় দিন। প্রতি বছরই দিবসটিতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। কিন্তু যারা দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল, স্বাধীনতার ৫১ বছর পর তাদের গণকবরগুলো রয়েছে অযত্ন আর অবহেলায়। কোথাও কোথাও রক্ষার উদ্যোগ নেয়া হলেও দুই একটি ছাড়া থমকে আছে সেই পর্যন্তই। দৃশ্যমান কোনও উন্নয়ন হয়নি এসব স্মৃতি রক্ষায়।

৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খন্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের তালিকায় ওই খন্ড যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতার শিকার হয়ে শহীদ হয়েছিলেন ২৮৪ জন থাকলেও জেলা প্রশাসনের শহীদ ব্যাধিতে ১১৬ জন বীর সন্তানের নাম রয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদী সদরে ২৭ জন, মনোহরদীতে ১২ জন, পলাশে ১১, শিবপুরের ১৩, রায়পুরায় ৩৭ ও বেলাব উপজেলার ১৬ জন। এছাড়া বহু মা-বোনের নীরব আত্মত্যাগের বিনিময়ে নরসিংদী হানাদার মুক্ত হয়।

স্বাধীনতার ৫১ বছর অতিবাহিত হলেও গণকবরগুলো সংরক্ষণ না করায় অরক্ষিত এসব গণকবরের শেষ চিহৃটুকু মুছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নরসিংদীর এমন কোনও স্থান নেই, যেখানে ৭১-এ শক্র সেনাদের নিষ্ঠুর ছোবল পড়েনি। বর্তমান জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৭ থেকে ২৮ জনকে ধরে নিয়ে পাকসেনাদের ক্যাম্প নরসিংদীর টেলিফোন এক্সচেঞ্জে আটক রাখা হতো। নির্যাতন শেষে তাদের নিয়ে যাওয়া হতো বর্তমান ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা মোড় সংলগ্ন তৎকালীন লোহাপুলে নিচে। সেখানে ৪ থেকে ৫ জনকে বসিয়ে রেখে তাদের সামনে ২০ থেকে ২২ জনকে গুলি করে হত্যা করে পাকবাহিনী। হত্যা শেষে লোহারপুলের নিচে সকলকে একসঙ্গে মাটি চাপা দেয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধে নরসিংদী জেলা ছিল ২নং সেক্টরের অধীনে। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তৎকালীন মেজর জেনারেল সফিউল্লাহ। নরসিংদীকে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে নেয়া হলে কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মো. নূরুজ্জামান। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াবহ কালো রাতের পর ৪ এপ্রিল পাকিস্তানীদের বিমান হামলায় নরসিংদী শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। এ হামলায় শহীদ হন আব্দুল হক, নারায়ণ চন্দ্র সাহা, চাঁদ মোহন দাস, জগদীস দাস, নির্মল দাস সহ নাম না জানা আরও ৮ জন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নরসিংদীর পাঁচদোনা ব্রিজে বিভিন্ন যানবাহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে পাক সেনা ও তাদের দোসর রাজাকাররা নিরীহ মানুষদেরকে হত্যা করে ব্রিজের নিকট গণকবর দিয়েছিল। সশস্ত্র যুদ্ধে জেলার বিভিন্ন স্থানে শত শত নারী পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে গণকবর দিয়েছিল পাকবাহিনী। গণকবরগুলোর বেশিরভাগই চি‎হ্নিত করা হয়েছে।

নরসিংদী জেলা ৭১ সেক্টর কমান্ডার মোতালিব পাঠান জানান, এ জেলায় ৫ হাজার ৮৪ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ২৮৪ জন শহীদ হন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পূর্বে না থাকায় জেলা প্রশাসনের শহীদ ব্যাধিতে ১৩৬ জন শহীদদের নাম স্থান পেয়েছে বাদ পরা শহীদদের নামের তালিকা শহীদ বেদীতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বহুবার তাগিদ দিলে তা কাজে আসছে না।

মোতালিব পাঠান জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মাধবদীতে নুরালাপুর ইউনিয়নের আলগী তারিনী বাবুর ভূইয়ায় পরিত্যক্ত বাড়িতে ছিল মুক্তি বাহিনীর আস্তানা। ওই আস্তানায় ১৯৭১ এর ১৬ অক্টোবর পাক হানাদার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে সেখানে অবস্থানরত ৬ মুক্তিযোদ্ধাকে একটি কাঁঠাল গাছে বেঁধে গুলি করে ও বেয়নেটের আঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এখানে শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধা তাইজ উদ্দিন পাঠান, আনোয়ার হোসেন, সিরাজ মিয়া, আওলাদ হোসেন, মোহাম্মদ আলী ও আঃ সালাম।

নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ নরসিংদী জেলায় রয়েছে মহান মুক্তিযোদ্ধের একটি গৌরবময় ইতিহাস। ১৯৭১ সালে ১২ ডিসেম্বর নরসিংদী জেলা পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়ক নির্মাণ ও বিভিন্ন গণকবরগুলোর সংস্কার কাজ চলছে।

নরসিংদী মুক্তদিবস উপলক্ষ্যে নরসিংদীর তরুণ প্রজম্মকে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস জানানোর জন্য বিশেষ করে নরসিংদী জেলা কবে মুক্ত হয়েছিলো তা জানানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিজয় কনসার্ট।

আজ দুপুর ২টা থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে কনসার্টটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এই কনসার্টে ওয়ারফেজ, আর্ক, ঐশীর সাথে আরও থাকবে নরসিংদীর স্থানীয় জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও ব্যান্ডসমূহ।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD