নরসিংদী-৪ (মনোহরদী) আসনে নৌকার প্রার্থী ও শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বিরুর সমর্থক ও চন্দনবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হিরনকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান হিরণ। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনবাড়ী গ্রামে চেয়ারম্যানের বাড়ীর সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রশাসনকে এ ঘটনা অবহিত করার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে প্রশাসন।
ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হিরন বলেন, ‘আমি নিজের বাসা থেকে বাড়ির পাশে বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুরপাড় দিয়ে যাওয়ার পর মূল রাস্তায় ওঠার পূর্বে দুটি হাইয়েস গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে নৌকার মনোনীত প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ছেলে মঞ্জুরুল মাজিদ মাহমুদ সাদীর নেতৃত্বে ৮-৯ জন ব্যক্তি আমার ওপর হামলার চেষ্টা করে। এ সময় সাদী আমাকে লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি করে। তখন প্রাণে বাঁচতে ইটের স্তুপের পিছন দিয়ে দৌঁড়ে চাচার বাসায় চলে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেই। পরে আমার চাচার ঘরেও হামলা চালানো হয়। পালিয়ে আসায় কোনো গুলি আমার শরীরে লাগেনি। গুলির শব্দে এলাকাবাসী বের হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করলে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুলিশ ও ইউএনওকে ঘটনাটি অবহিত করেছি। পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীকে কল দেওয়া হলে রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠালেও উত্তর দেননি তিনি।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদেরকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। প্রথমে শুনেছি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ হিরন পানিতে পড়ে গেছেন। পরে শুনেছি গুলিও করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষীও নেই। আমিও জেলা প্রশাসককে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’