নরসিংদীর মাধবদীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার নূরালাপুর ইউনিয়নের গদাইরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- টেক্সটাইল শ্রমিক শামীম মিয়া (৪০), তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে সানজিদা (১৮) ও রিয়া মনি (৯), শামীমের বড় ভাই গাফ্ফার মিয়া (৪০) এবং ছোট ভাই রশিদ মিয়া (৩২)।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আলগী এলাকার মানিক মিয়া নামের এক ব্যক্তি ওই গ্রামের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি শামীম মিয়ার বাড়ির পাশের ড্রেন দিয়ে বিলকিস নামক এক নারীর বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেন মানিক মিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, শামীম মিয়ার বাড়ির শৌচাগারের পাইপ দিয়ে অবৈধ সংযোগের লিকেজের মধ্যে বসতঘরে ঢুকে পড়ে গ্যাস। ভোরে রান্না বসানোর জন্য চুলায় আগুন দিলে মুহূর্তেই বিকট বিস্ফোরণে ঘরের ছাদসহ কম্পিত হয়ে অগ্নিসংযোগ হয়। এ সময় একই পরিবারের ছয়জন আহত হন।
নূরালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইসাহাক মিয়া বলেন, ‘ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এ সময় প্রচণ্ড গ্যাসের গন্ধ পাই। পরে তাৎক্ষণিক গ্যাস বন্ধ করা করা হয়। এই অবৈধ গ্যাস যারা নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আহতদের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।’
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে, জ্বালানি গ্যাসের বিস্ফোরণ থেকেই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’