ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভনিয় শিল্পী আখম হাসান ও নাদিয়া আহমেদকে নিয়ে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্মি ‘গুরু। রাজীব মণি দাসরে রচনায় টেলেফিল্মটি পরিচালনা করেছেন পলাশ মণি দাস। টেলিফিল্মের বিভিন্ন চরিত্রে আরো দেখা যাবে- তারিক স্বপন, জুলফিকার চঞ্চল, হাসি মুন, ফারগানা মিল্টন, ফরিদ হোসাইন, বুলবুল, মিলন হোসেন, প্রমুখ। পরিচালক সূত্রে জানা যায়, টেলেফিল্মটি খুব শিগগিরই যে কোনো একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হবে। তারপর টিওটি ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে টেলিফিল্মটি মুক্তি দেওয়া হবে।
গল্পে দেখা যায়-
গুরু যে হলো গ্রামের সবার প্রিয় রাজা। হঠাৎ একদিন গ্রামে ভাড়াটিয়া হিসাবে আসে রূপবতী এক কন্যা নীলা। প্রথম দেখাতেই নীলাকে ভালো লেগে যায় রাজার। কিন্তু দু’জনের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হতে বেশি সময় লাগে না। রাজা তার পরিচয় দিলে নীলা তাকে গুরু না বলে গরু বলে। এতে রাজা ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
নীলার বাবাও এক সময়কার নামকরা পুলিশ অফিসার ছিলেন। যার নাম শুনলে সন্ত্রাসীরা কাপড় নষ্ট করে দিত। মি. রহমানের মতো সৎ পুলিশ অফিসার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই যেখানে বড় ধরনের কোনো কু-কীর্তি হয় সেখানেই তার ডাক পড়তো। চাকরি থেকে অবসর নিলেও এখনো কথার মধ্যে সেই তেজ বিদ্যমান রয়েছে।
মেয়ের মুখ থেকে গুরুর ইভটিজিংয়ের কথা শুনে মি. হায়দার তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলে। পারলে সে এখনই রাজাকে হাতের তালুতে তুলে পিসে মেরে ফেলে। শুরু হয় গুরু ও হায়দারের নতুন মিশন। কিন্তু মি. হায়দার জানতে পারে তার মেয়ে রাজার প্রেমে পড়েছে।
রাজা কি পারবে নীলার বাবা মি. হায়দারে হাত থেকে নীলাকে নিজের করে নিতে নাকি ঘটনা মোড় নিবে অন্যদিকে। এইরকম দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্পের চরিত্রগুলো।