নরসিংদীতে আলুর দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নরসিংদী পৌর শহরের বড় বাজার, ভেলানগর বাজার, মাধবদী বাজারে খুচরা মূল্যে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় । এর মধ্যে লাল আলু ৫০ টাকা, দেশি নতুন আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। গত সপ্তাহে প্রকারভেদে আলু দাম ছিল কেজিতে ৪০ থেকে ৭০ টাকা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এ জেলায় সবজির পাশাপাশি আলুর ভালো ফলন হয়। সদরের চরাঞ্চলসহ পলাশ, শিবপুর, বেলাব ও রায়পুরা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু হিমাগার না থাকায় নরসিংদীর কৃষকরা সবজি ও আলু মজুত করে রাখতে পারেন না। জেলায় উৎপাদিত আলু ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও সিলেটে সরবরাহ করা হয়। ব্যবসায়ীরা ঢাকার যাত্রবাড়ী, কারওয়ান বাজার থেকে কিনে এনে জেলার হাটবাজারগুলোতে বিক্রি করেন। সরাসরি নরসিংদী থেকে কিনতে পারলে খুচরা বাজারগুলো আরও ৫ টাকা কমে বিক্রি করা যেত।
গত সোমবার মাধবদীর সাপ্তাহিক হাটে পুরোনো আলুর ৩২ টাকা কেজি ও নতুন আলু দাম ৩৫ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়। সেই দাম এখনো অপরিবর্তিত আছে।
মাধবদী হাটের ব্যবসায়ী আবু তাহের মিয়া বলেন, ‘এই সপ্তাহে আলুর দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি করে আলু কিনছেন। আমরা আড়তদারদের কাছ থেকে কম দামে কিনতে পারলে খুচরা ক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে পারি।’
আলু কিনতে আসা আলী হোসেন জানান, শিতলাবাড়িতে তিনি একটি খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন, প্রতি সপ্তাহে তার প্রায় ১০০ কেজি আলুর প্রয়োজন হয়। এই সপ্তাহে ৫ টাকা কম হওয়ায় তার একটু স্বস্তি ফিরেছে। তবে হাতে টাকা না থাকায় ৪০ কেজি আলু কিনেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নরসিংদীর উপপরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ‘এবার ১ হাজার ৭২৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ১ হাজার ৬২৯ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২১ টন আলুর উৎপাদন হয়েছে। এসব আলু জেলার চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলাতে পাঠানো হচ্ছে। নরসিংদীতে কৃষি পণ্য মজুত রাখার জন্য কোনো হিমাগার নেই। আমরা বিভিন্ন সময় কৃষকদের সুবিধার্থে হিমাগারের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে উপস্থাপন করে আসছি।’