নরসিংদীতে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণায় নেমেছে ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ, নরসিংদী জেলখানা মোড়, শাহেপ্রতাপসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করেছেন।
এই কর্মসূচীতে সড়কে চলাচলরত গাড়ির চালক, হেলপার, পথচারীসহ সাধারণ মানুষের দায়িত্ব, করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে সচেতন করতে তারা কাজ করছে। একই সাথে পথচারী, যাত্রী, ছাত্র/ছাত্রী, চালক ও হেলপারদের নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বিষয়ে অবহিত করছেন ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ। ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফঁড়ীর পরিদর্শক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন নেতৃত্বে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
এসময় সড়কে মাইকিং করে হেলপার ও যাত্রীসহ পথচারীদের অবহিত করেন এবং বিস্তারিত আলোচনা করেন। সড়কে যেকোনো সমস্যায় হ্যালো এসপি অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হয়।
এছাড়াও চালক ও হেলপারদের নির্ধারিত বাস স্টপেজে বাস থামানো, চলন্ত অবস্থায় বাসের দরজা বন্ধ রাখা, ঘুমঘুম চোখে গাড়ী না চালানো, ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি না চালানো, গাড়ি চালানোর আগে গাড়ির অন্যান্য কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা তা দেখে নেয়া, মহাসড়কে দ্রুতগতিতে গাড়ি না চালানো ও পথচারীদের রাস্তা পারাপারে (ফুটওভারব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার) ইত্যাদি বিষয় মেনে চলার জন্য চালক, হেলপার ও পথচারীদের আহ্বান জানান এবং সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ ‘র প্রতি সকলকে শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অনুরোধ করেন।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণার ভূয়সী প্রশংসা করে নিরাপদ সড়ক চাই নরসিংদী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফয়সাল সরকার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবাই সচেতন হতে হবে। আজ পুলিশের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ মানুষের জীবন বাঁচানোর উদ্যোগ। আসুন আমরা সবাই সচেতন হই। তাহলেই দুর্ঘটনা রোধ হবে।